Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোশক কারিগরদের


আগামী নিউজ | শেখ ফরিদ, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১, ০২:৫০ পিএম
ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোশক কারিগরদের

ছবি: আগামী নিউজ

দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়): উত্তরে হিমালয় কাছে হওয়ায় পঞ্চগড়ে বরাবরই শীতের প্রকোপ একটু বেশিই থাকে। শীতকালে বেশির ভাগ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে প্রান্তিক এ জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায়।  

এবারও আগেভাগেই শীতের দাপট দেখা যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে অনুভুত হচ্ছে শীত। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার সাথে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়ে থাকে পুরো জেলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রােদের দেখা মিললেও সন্ধা নামলেই গায়ে জড়াতে হচ্ছে শীতের কাপড়। ফলে শীত নিবারণে এ উপজেলার মানুষের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। অনেকেই তৈরি করছে নতুন লেপ-তােশক। ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও দেবীগঞ্জ পৌরশহরের লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, মালিক-শ্রমিক সবাই লেপ-তোশক তৈরির সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আকার ও তুলা ভেদে বিভিন্ন দামে লেপ-তোশক বিক্রি করা হচ্ছে। শিমুল তুলার দাম বেশি হওয়ায় একেকটি লেপ/তোশক বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়।

দোকানদাররা জানান, বছরের প্রায় আট মাস তেমন কাজ হয় না। এখন শীতকালে কাজের সুযোগ বেশি, আয়-ইনকামও বেশি। তাই চার মাসের কাজের পারিশ্রমিক দিয়ে তাদের বাকি আট মাস চলতে হয়। মৌসুমে একেকজন কারিগর দৈনিক ৬/৭টি লেপ-তোশক তৈরি করতে পারেন। প্রতিটি লেপ আকার ভেদে একহাজার থেকে দেড় হাজার টাকা, তোশক ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা এবং জাজিম ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি করা যায়। প্রতিটিতে পারিশ্রমিক আসে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর তৈরি লেপ-তোশকের দাম তুলনামূলক বেশী দাবি ক্রেতাদের।

হাবিবা আক্তার হিমু নামের এক ক্রেতা জানান, এবারে কিছুটা আগে ভাগেই শীত পড়তে শুরু করেছে। তাই লেপ-তোষক তৈরি করতে বাজারে এসেছি। তবে তুলার দাম খানিকটা বেশি চাচ্ছে দোকানিরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাপড় ও তুলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোশকে গুণতে হচ্ছে বেশি দাম।

হাবিব নামের এক কারিগর জানান, বছরের মধ্যে শীতের দুই থেকে তিনমাস আমাদের ব্যবসার মৌসুম। এই সময়ে লেপ তোষক বিক্রিও যেমন বাড়ে তেমনি আমাদের ব্যস্ততাও বাড়ে। শীতের শেষে অলস সময় পার করতে হয় আমাদের।

তুলা ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের এলাকায় শীত শুরু হয়েছে। ভির বাড়ছে লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে। এবছর তুলার প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা দাম বাড়ছে, কাপড়ে বেড়েছে গজে ৫-৬ টাকা।

এদিকে, এখন পর্যন্ত শীতের তীব্রতা খুব বেশি অনুভুত না হলেও ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা। গত ১০ দিনের ব্যবধানে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৪’র ঘরে নেমেছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরো কমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

আগামীনিউজ/ হাসান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে