ছবিঃ আগামী নিউজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ বেওয়ারিশ বা অসহায় ব্যক্তির লাশ দাফন করার কথা উঠলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের নাম উঠে। তেমনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফকিরাপুল থেকে উদ্ধার হওয়া সোহেল মিয়া (৩০) নামের এক ভিক্ষুকের লাশের জানাযা ও দাফনকাজ সম্পূর্ণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর।
রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সদর হাসপাতালের চত্বরে জানাযার নামায শেষে মেড্ডা কবরস্থানে ভিক্ষুকের লাশটি দাফন করা হয়।
ভিক্ষুক সোহেল মিয়া মৌলভীবাজার জেলার কুলাঊড়া উপজেলার কুলাউড়া গ্রামে মৃত সনু মিয়ার ছেলে।
বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, গতকাল রাতে জেলা শহরের ফকিরাপুল ব্রিজের পূর্বপাশে সোহেল মিয়া নামের এক ভিক্ষুককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে সদর মডেল থানার পুলিশ ও বাতিঘরের সদস্যদের নিয়ে ভিক্ষুকের লাশটি উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে নিয়ে আসি। ওই ভিক্ষকের ছোট ভাই জুয়েল মিয়ার খোঁজ পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সোহেলের পরিবারের আর কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি। রোববার সকাল পর্যন্ত লাশের কোন আত্মীয় আসেনি বলে বাতিঘরের নজরে পড়ে। পরে যোহর নামাযের পর সদর হাসপাতাল চত্বরে শতাধিক মানুষ নিয়ে জানাযার নামায পড়া হয়। তারপর জানাজা শেষে মেড্ডা কবরস্থানে বাতিঘরের সদস্যদের নিয়ে দাফনকাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
ওই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের ২০-৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সামাজিক ও মানবিক কাজ দিয়ে জেলায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে তারা জেলায় টেলি মেডিসিন সেবা, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা ও ২৪ ঘন্টা রক্তদান করে যাচ্ছে। যা এই প্রথম কোন সংগঠন স্বেচ্ছায় এত গুলো কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ২৫টি বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজ সম্পূর্ণ করেছে বাতিঘর। জেলার কিছু ডাক্তার-সাংবাদিক ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক-প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বাতিঘরের সেবামূলক কাজের সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত থেকে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।