টাঙ্গাইলঃ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা আগের রাতেই করে সাবেক প্রেমিক আহত মনির হোসেন। সেই অনুয়ায়ী সকালে প্রেমিকাকে ছুরি দিয়ে জবাই করে সে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আত্মহত্যার জন্য মনির নিজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) হত্যাকাণ্ডের পর টাঙ্গাইল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে র্যাব নিশ্চিত হয় গুরুতর আহত মনির হোসেনই তার প্রাক্তন প্রেমিকা সুমাইয়া আক্তারকে হত্যা করেছে।
মনির কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। তিনি বাস চালকের সহকারি। আর নিহত ছুমাইয়া একই উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। পরিবারসহ এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। সে এলেঙ্গা রানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
টাঙ্গাইল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মি. জন রানা হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন মনির হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন শ্রমিক মনির হোসেনের সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুমাইয়ার। দুই মাস আগে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এতে মনির সুমাইয়ার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। মঙ্গলবার রাতে প্রেমিকাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে। এ বিষয়ে আমাদের (র্যাব) কাছে তথ্য আছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত যে ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি মনির হোসেনের।
এর আগে মনিরের টিকটকের প্রতি আগ্রহ ছিল। মাঝে মধ্যে সে টিকটকে ভিডিওতে উদ্ধার হওয়া সেই ছুরিটি ব্যবহার করে। আমাদের কাছে বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে যা দেখে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মনিরের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার এলেঙ্গা শামসুল হক কলেজের সামনে নবনির্মিত বিল্ডিং থেকে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পাশেই পড়ে থাকা গুরুতর আহত মনির হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আগামীনিউজ/বুরহান