নাটোর: কৃষকের জমির আইলে ইঁদুর মারতে দেয়া হয়েছিল বৈদ্যুতিক ফাঁদ। সেই জমিতে কীটনাশক দিতে গেয়ে ওই বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে জরিয়ে মৃত্যু হয় এক কৃষকের।
শনিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে।
নিহত কৃষক শ্যামপুর গ্রামের গেদূলাল হালদার এর ছেলে চৈতন্য হালদার (৪৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন , ওই কৃষক কৃষি কাজের পাশাপাশি মৎস্যজীবি হিসেবে পরিচিত।
নিহতের স্ত্রীর বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, চৈতন্য হালদার পাশের হালসা বাজার থেকে কীটনাশক কেনেন শুক্রবার বিকেলে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্ত্রীকে বলেন, আমি জমিতে কীটনাশক দিয়ে রাত্রিতে মাছ ধরে বাড়ি ফিরব। কিন্তু শনিবার ভোরে প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের ছেলে ইউসুফ আলী এসে চৈতন্যর স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করেন দাদা কোথায়? মাছ ধরতে যাব। এসময় চৈতন্যর স্ত্রীর কাছে বিস্তারিত শুনে তাদের সন্দেহ হয়। তারা জমিতে গেলে চৈতন্যের নিথর দেহ ও দেহের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তারে পোড়া চিহ্ন দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, জমির আইলে গুনার তারে ওই ফাঁদ দেয়া ছিল বিধায় পাশের জমির সাথে চৈতন্যের জমির ইঁদুরও মারার ব্যাবস্থা করা ছিল।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
আগামী নিউজ/ হাসান