ফরিদপুরঃ জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ভেল্লাকান্দি ও নিশ্চিন্তপুর দুই গ্রামের মানুষের মাত্র দেড় কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা সড়কের কারণে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গ্রামে চলাচলের রাস্তা নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন। গ্রামে চলাচলের প্রধান সড়কটির সাথে এই দুই গ্রামের সড়কটি এখনো কাঁচা। এই সড়ক দিয়ে গ্রামে যাওয়া আসা করতে গিয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই গ্রামবাসীকে ফেলতে হয় দীর্ঘশ্বাস।
সারা দেশে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন ঘটলেও তার ছোঁয়া এই গ্রামে এখনো লাগেনি। যে কারনে প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা লোকজন এবং গ্রামবাসীকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
মধুখালী উপজেলার অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম দুটি গ্রাম ভেল্লাকান্দি ও নিশ্চিন্তপুর। গ্রামটিতে রয়েছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। বিশাল জনগোষ্ঠীর চলাচলের জন্য রাস্তা থাকলেও তা চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী।
ভেল্লাকান্দি গ্রামের মো. আবু তৌহিদ মোল্যা বলেন একটু বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে প্রতিনিয়ত পড়ছে গ্রামবাসী। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে ভেল্লাকান্দি গোরস্থানে লাশ দাফনের জন্য আনা বৃস্টির দিনে বিপদের শেষ নাই। তবে এই রাস্তাটি কিছু অংশ ইটের সলিং হয়েছে বাকীটা পড়ে আছে দির্ঘদিন। বাকী টুকু হলে আর ভোগান্তি থাকবে না। দীর্ঘদিনের কস্ট লাঘব হবে।
নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মো. আ. জলিল মোল্যা বলেন, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি, যার কারনে জরুরী মুহূর্তে বয়স্ক মানুষ ও রোগীকে কাঁধে করে পাকা সড়কে নিয়ে যেতে হয়। চলাচলের জন্য আর কোনো রাস্তা নেই। এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষাকালে একটু হালকা বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদামাটি ও পিচ্ছিলসহ বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। দিনের বেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও রাতে কোনো যানবাহন চলাচল করে না। জরুরি মুহূর্তে কোনো রোগী অথবা গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে পড়তে হয় নিদারুন কষ্টে। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনো বেহাল পড়ে আছে। গুরুত্বপূর্ন এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানান তারা।
ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ আলম মাসুম মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এই রাস্তা সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে।