Dr. Neem on Daraz
Victory Day

স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় গোবিন্দগঞ্জে এপিপি দম্পতি সহ দশজন জেল হাজতে


আগামী নিউজ | মানিক সাহা, জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ০৯:৫৬ পিএম
স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় গোবিন্দগঞ্জে এপিপি দম্পতি সহ দশজন জেল হাজতে

ছবিঃ আগামী নিউজ

গাইবান্ধাঃ জেলার গোবিন্দগঞ্জে পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের এপিপি ও তাঁর স্ত্রী সহ ১০জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এই আদেশ দেন। আটককৃতরা আদালতে জামিনের আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। আসামীরা উপজেলার ধরমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করেন।

গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালত সূত্রে জানা যায়, চৌকি আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম,  মোহাম্মদ আলী সরকার, মোখলেছুর রহমান, মন্নু মিয়া, মুনমুন বেগম, নিজাম উদ্দিন, দোলেনা বেগম, নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, তোজাম্মেল হক বুধবার দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানাগেছে,  ২০১৯ সালে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে ধরমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে মনোয়ারা বেগমকে নিয়োগের জন্য তারা সহায়তা করেন। এঘটনায় উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত শামছুল রহমানের ছেলে খাইরুল বারী অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গাইবান্ধার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেমন (পিবিআই) এর উপ-পরিদর্শক শাহ্ আলম দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পরিতোষ শর্মাকে ধরমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রিজাইটিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগমের অসহযোগিতায় কারণে তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। পরে তাঁর স্বাক্ষর জাল করা হয়।
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে