সিরাজগঞ্জঃ যমুনা নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করেছে। উজানের ঢলে টানা কয়েক সপ্তাহ যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দী জীবনযাপন করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় পানি কমার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ।
তিনি জানান, সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জেলার সদর, কাজীপুর, চৌহালী ও এনায়তপুরে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বন্যা কবলিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বরাত দিয়ে জানান, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় চাল ও নগদ টাকা সাহায্য দেয়া হয়েছে।