মৌলভীবাজারঃ ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। মা গান গাওয়ার জন্য উৎসাহ দিতেন। বাবা একজন ব্যবসায়ী। বাবা মায়ের উৎসাহ পেয়েই গানের প্রতি ভালোবাসা জন্মে। গান গেয়ে ধীরে ধীরে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ক্ষুদে শিল্পী তাসনিয়া হৃদি।
২০১৫ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় একটি প্রোগ্রামে রবীন্দ্র সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রথম গানের যাত্রা শুরু। তখন সে ২য় শ্রেনিতে পড়ে। ২০১৬ সালে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে পুরস্কার প্রাপ্ত হয়। ২০১৭ সালে জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় ‘‘কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলায় প্রতিযোগীতায় গান গেয়ে ২য় স্থান অধিকার লাভ করে রৌপ্য মেডেল অর্জন করে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। ২০১৮ সালে চ্যানেল আই এর ক্ষুদে গানরাজ এর প্রতিযোগীতায় ১ম রাউন্ড থেকে সেরা ২০ জনে জায়গা পেয়েছিলো। তখনকার সময়ে সঠিক গাইডলাইন না থাকার কারনে সে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। হৃদি ও তার পরিবারের আশা ছিলো ক্ষুদে গান রাজে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছাঁতে পারলে সে ভালো একটা পর্যায়ে যেতে পারতো কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা আর হয়নি। তবুও থেমে থাকেনি হৃদি গানের সাথেই আছেন। এখনো স্বপ্ন দেখছেন গান গেয়ে ভাল একটা পর্যায়ে জায়গা করে নিবে।
হৃদি জানায়, আমার প্রথম গানের স্কুল আদর্শ সঙ্গীত বিদ্যালয়; গানের গুরু মৃত্যুঞ্জয় স্যার। গান নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন, আমি আদর্শ একজন সঙ্গীত শিল্পী হতে চাই। গান আমার অনেক ভালো লাগে, তাই গান নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই আমার আসল উদ্দেশ্য। শিল্পী হওয়ার পেছনে আমার মা,বাবা এবং ভাইয়ার অবদান আছে, সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মায়ের। বড় হয়ে আমি একজন আদর্শ শিল্পী হতে চাই। আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী, মা গৃহিণী। আমার পরিবারে আমি, আমার মা, আমার বড় ভাই। আমরা এক ভাই এক বোন, আমি ছোট।
হৃদি বর্তমানে শ্রীমঙ্গলের দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। হৃদির ভবিষ্যৎ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? জানতে চাইলে সে জানায়, গান নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক বড়। তবে সবার আগে একজন ভালো মানুষ হতে চাই। আমি বড় শিল্পী হতে পারবো কি না তা জানি না কিন্তু আমি ভালো একজন শিল্পী হয়ে মানুষের হৃদয়ে থাকতে চাই। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এমন কিছু গান করতে চাই, যে গানগুলো মানুষের হৃদয় ছুঁতে পারবে। সকলের কাছে আমি দোয়া চাই আমি যেন গান গেয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারি।
হৃদির মা সাজেদা বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার মেয়ে গান পছন্দ করে। গানের প্রতি তার আগ্রহ দেখে আমি তাকে গান গাইতে উৎসাহ দেই। তাকে গানে স্কুলে ভর্তি করি। এ পর্যন্ত সে প্রায় শতাধিক প্রোগ্রামে গান গেয়েছে। সব জায়গায় সে প্রশংসিত হয়েছে। সকলের কাছে মা হয়ে মেয়ের জন্য দোয়া চাই হৃদি যেন ভাল ও আদর্শ একজন বড় সঙ্গীত শিল্পী হতে পারে সেজন্য সকলে দোয়া করবেন।