Dr. Neem on Daraz
Victory Day

টাঙ্গাইলে সংরক্ষিত বনে ৫২৩ টি অবৈধ করাতকল


আগামী নিউজ | শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১, ০২:৫৮ পিএম
টাঙ্গাইলে সংরক্ষিত বনে ৫২৩ টি অবৈধ করাতকল

ছবিঃ আগামী নিউজ

টাঙ্গাইলঃ সরকারী নিষেধাঙ্গা অমান্য করে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় যত্রতত্র গড়ে ওঠেছে অবৈধ করাতকল। বিভিন্ন সংরক্ষিত বন থেকে চোরাকারবারিরা কেটে আনছে গাছ। আর সেই গাছ দেদারছে চিরাইয়ের কাজ চলছে ওইসব অবৈধ করাতকলে।

বন উজাড় হওয়ার পেছনে এটাও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে বন বিভাগ থেকে করাতকল স্থাপনের জন্য লাইসেন্স নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছেন না স্থানীয় প্রভাবশালী চোরাকারবারীরা টাঙ্গাইল বন বিভাগ সুত্র জানায়, সদর উপজেলা, ভুয়াপুর, গোপালপুর, ধনবাড়ী, মধুপুর, ষাটাইল, সখীপুর, বাশাইল, মির্জাপুর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় ৬৪৪ টি করাতকল রয়েছে। যার মধ্যে ৫২৩টি অবৈধভাবে চলছে। করাতকল বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী, সংরক্ষিত বন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন করাতকল স্থাপন করা যাবে না। আর বিশাল এই ভূমিতে রয়েছে শাল, সেগুন ও মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামাজিক বনায়নের গাছ।

সরেজমিনে দেখা যায় সখীপুর উপজেলায় মুছির পুকুর পাড়,নয়েছ বাজার,বাশতৈল বাজার, হলিদা চালা, নলুয়া ও ঘাটাইল উপজেলায় ধলাপাড়া, লক্ষিন্দর, সাগরদিঘী, জোরদিঘী, দেওপাড়া, গারোবাজার, মাকড়াই, ছনখোলা, বটতলা, কুশারিয়া, পেচাঁরআটা, নলমা, মাইধারচালাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায়  সামাজিক বন ঘেঁষে স্থাপন করা হয়েছে শতশত অবৈধ করাতকল। এসব করাতকলে দিন-রাত চেরানো হচ্ছে শাল, গজারিসহ বিভিন্ন গাছ। ফলে দিনদিন উজাড় হচ্ছে বন, ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ।

সখীপুর উপজেলায় করাতকল মালিক গোলজার, দুলাল, সাত্তারসহ কয়েকজন জানান আমরা লাইসেন্স নিয়ে করাতকল চালাতে চাই কিন্তু পাচ্ছি না।

সখূপুর উপজেলার মিজানুর রহমান  জানায় বনের ভিতর স্থাপিত এসব করাতকলের মালিক কাঠ ব্যবসায়ী। অবৈধ করাতকলের মালিকরা স্থানীয় বিট কর্মকতাদের সাথে দহরমমহর সম্পক্য থাকায় তারা করাতকল চালাতে পারে। অবৈধ করাতকলের কারণে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অপরদিকে নির্বিচারে বনের গাছ কর্তনে উজাড় হচ্ছে বনভূমি। তিনি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদের জন্য দ্রুত অভিযানের দাবি জানান।

টাঙ্গাইল বন বিভাগের প্রধান সহকারী মোঃ আঃ কাদের জানান আমরা করাতকল মালিকদের লাইসেন্স দিতে উৎসাহিত করে থাকি। যারা বলে লাইসেন্স দিচ্ছে না তারা লাইসেন্সের জন্য আবেদনই করেনি।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক জানান আমরা সকল অবৈধ করাতকল উচ্ছেদের বিষয়ে বিভিন্ন উপজেলার রেজ্ঞ অফিসারদের নিয়ে মিটিং করেছি। আমাদের উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত হচ্ছে এবং এটা অব্যাহত আছে। সেই সাথে তিনি আর ও জানান আমাদের বন বিভাগে লোকবল কম থাকায় এবং করোনাকালে এসব অবৈধ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে