বরগুনাঃ জেলায় সবজি বাজারে আগে থেকেই শাক-সবজির দাম ছিলো চড়া। এ অবস্থায় গত জুলাই মাসের শেষের দিকে অতিবৃষ্টির কারনে বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ায় বর্তমানে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সবজির দাম। পৌর বাজারে ফোরকান নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন,বরগুনায় বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় পাইকার বাজারে শাঁক-সবজি কম আসছে। বাজারে সংকটের কারণে সবজির দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে।ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, অতিবৃষ্টি কোন কারন নয়। এই মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়।
এ সপ্তাহে বিভিন্ন উপজেলায় কাচাঁবাজার ঘুরে দেখা গেছে,লকডাউনের প্রভাবে সবজির বাজারে আগের মতো ক্রেতা ছিলো না। তবুও সবজির দাম ছিলো চড়া।এছাড়াও বন্ধ দেখা গেছে কাঁচাবাজারের অধিকাংশ দোকান। সদরে কাচাঁবাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, কাকরোল আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুর ছড়া ৮০ থেকে ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পটল ৩০ থেকে ৪৫ টাকায়, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকায়,হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বদরখালী ইউনিয়নে একজন ক্রেতা জানিয়েছেন, বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে দাম শুনে চমকে গিয়েছি। ব্রয়লার মুরগি কিনেছি ১১০ টাকা দিয়ে অথচ বরবটি কিনতে হয়েছে ৮০ টাকায়। আগের সপ্তাহে ৪০ টাকা করে কিনে খেয়েছি।
এ সপ্তাহে সকল সবজির দামও চড়া। দুই প্রকার সবজি কিনতে টাকা শেষ। ১০০ টাকার কাঁচাবাজারে একদিন চলে না।
এদিকে জেলার আয়লা বাজার এলাকার একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। বাজারে লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, লাল শাঁক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ডাটা শাঁক ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক তথ্যমতে অতিবৃষ্টিতে জেলায় প্রায় ৯০০ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছিলো।যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক কৃষক। তবে ক্ষতি পুষিয়ে সবজির উৎপাদন আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে এখন।কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও স্লুইসগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।জেলার শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। সবজির দাম বৃদ্ধির কোন কারন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
কাঁচা বাজারের আরতদারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান,বরগুনা সদর অনেক এলাকায় অতিবৃষ্টি হওয়ায় সবজি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই সবজি অন্যান্য জেলা থেকে কম আসছে।