বরগুনা: যে আতঙ্ক আজ বিশ্বকে কুড়ে খাচ্ছে। প্রতিদিন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হচ্ছে। কতটা পরিবার তার আপনজনকে হারাচ্ছে। তা নিয়ে সাধারণ মানুষের যেনো কোন মাথাব্যথাই নেই। তারা চোর-পুলিশ খেলা খেলছে জেলা প্রশাসনের কর্তব্যরত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি কিংবা বাহিনীর গাড়ি দেখলেই দোকানের শাটার বন্ধ করে দেয়। যেন জায়গাটি মানুষ শূন্য। অথচ একটু আগেও যেখানে ডজনখানেক মানুষের সমাগম ছিল।
সচেতন মহল বলছেন, প্রতিটি ঘরে অন্তত এক মাসের খাবারের চাল, ডাল কিংবা আলু, পিয়াজের যোগান থেকেই যায়। বাকি থাকে সবজি। অথচ সরকার সে কথা চিন্তা করে বাজার করতে নির্দিষ্ট একটি সময় বেঁধে দিয়েছেন। তবুও বেঁধে দেয়া সময়ের বাইরে গিয়ে বাজারের মুখ না দেখলে যেনো পেটের ভাত হজম হয়না এক দল বিপথগামী মানুষের।
একজন অসচেতন ব্যক্তি গোটা সমাজকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। সেই সাথে ফেলছে তার পরিবারকেও একটি লাল গন্ডির মধ্যে। আর বাহির থেকে বয়ে নেওয়া করোণা ভাইরাসটি অনায়াসেই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে অন্যান্য সদস্যকে আক্রান্ত করছে। এভাবেই প্রতিদিন করোণা ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে এই সমাজেরই একজন অসচেতন ব্যক্তি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সহযোগিতায় রয়েছেন পুলিশ,র্যাব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর সদস্যরা। নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে হলেও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে শুধু একটি বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন- 'ঘরে থাকুন-সুস্থ থাকুন' 'বেশি বেশি করে হাত ধোয়া সহ মাস্ক ব্যবহার করুন'।
সমাজের প্রতিটি মানুষ সচেতন হলেই করোণা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। আর তখনই বাঁচবে মানুষ, বাঁচবে দেশ। তবেই আবার ফিরে পাবে সবুজ ঘাসের মাঠ। সোনালী দিনের সোনার বাংলা। সচেতনতার বালাই হোক প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।