বরিশালঃ জেলা সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আরও ৭৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছেন বরিশাল জেলার বাসিন্দারা। যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫ হাজার ৩৬৭ জন।
তথ্য নিশ্চিত করে সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে ১১ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও চারজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পটুয়াখালীর ২ জন ও বরগুনার ২ জন রয়েছেন। এনিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভাইরাসটিতে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশাল জেলায় ২৪৫ জন। এনিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৬০ জনে। এরপর পটুয়াখালীতে নতুন ১৭৯ জন সহ মোট ৪ হাজার ৭২৫ জন, ভোলায় নতুন ১৬৫ জন সহ মোট ৪ হাজার ২২৯ জন, পিরোজপুরে নতুন ৬৩ জন সহ মোট ৪ হাজার ৫১৭ জন, বরগুনায় নতুন ৪৬ জন সহ মোট ৩ হাজার ৭২ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ৪২ জন সহ মোট ৪ হাজার ১৬৪ জন। এর মধ্যে বিভাগে এ পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ৭১১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১১ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠোনো হয়েছে। এনিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩২৬ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৮০৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ২০ জন ও করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৫ জনসহ মোট ৫৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১২৩ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২০৪ জন সহ মোট ৩২৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা মহামারির শুরুতে ২০২০ সালের ৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ ফেরত পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার এক শ্রমিক বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।