নওগাঁ : নওগাঁয় ভুয়া ডিসি, পুলিশ সুপার, ডাক্তার ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন পেশার পরিচয়দানকারী এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকৃতরনাম সাদ্দাম হোসেন (৩২) যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার আটুলিয়া গ্রামের কাওছার আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যাালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন-সাদ্দাম হোসেন বিভন্ন সুন্দরী মেয়েদের পটানোর কৌশল হিসাবে সেনিজের লাইফ স্টাইল চেঞ্জ করে। অনলাইন ম্যারেজ মিডিয়াগুলোতে কখনো আমেরিকা সিটিজেন, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী, ডিসি, পুলিশ সুপার, ডাক্তার সেনাবাহিনী ও নিজেকে বড় ব্যাবসায়ী পরিচয়ে নিজেকে অবিবাহিত দেখে বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজার বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর বিভিন্ন সুন্দরী মেয়ের সাথে চ্যাটিং এর শুরুতেই তাদের ছবি নেয়। তারপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদেশ নেওয়ার কথা বলে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকার পাশাপাশি মেয়েদের কাছ থেকে ব্যাংক চেকও নিয়ে রাখে। পাশাপাশি সে মেয়েদের সাথে শারিরীক সম্পর্কের ভিডিও ধারন করে রাখে। তিনি আরো বলেন, জেলার এক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে মারা যাওযায় বিষন্নতায় ভুগছিলেন। এই সুযোগে সাদ্দাম ওই ভাইস চেয়ারম্যান সাথে ভালোসম্পর্ক গড়ে তুলে। তাকে বিভিন্ন ভাবে সরকারের উচ্চ মহলের সাথে যোগোযোগ আছে বলে বিশ্বাস করায়। তারপর তার কাছ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের টিকিক নিয়ে দেওয়ার কথা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাইয়ে দেওয়া কথা বলে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর থেকে তার সাথে যোগায়োগ বন্ধ করে। সোমবার সে জানতে পারে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে নিয়ে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে তার অবস্থান করছে। সেতৎক্ষনাত বিষয়টি পুলিশকে জানালে স্ত্রীসহ তাকে আটক করাহয়।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, আটককের পর তার মোবাইল ফোন হতে দেখা যায় সে অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা বাক্রিপ্টোকারেন্সী ব্যাবসায়ীর সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।এসময় অতিরিক্তি পুলিশ সুপার একেএম আল মামুন চিশতীও গাজীউর রহমানসহ পুলিশের কতর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।