বরগুনাঃ উপকূ’লীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে লঞ্চ ঘাটে ঘাটে উপচে পড়া ভীড়। স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ঢাকামুখী কর্মস্থলে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। বরগুনা নদীবন্দর থেকে সোমবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে বেতাগী লঞ্চঘাট থেকে এমভি ফারহানা-৮ ও রয়েল ক্রু নামের দুইটি জাহাজ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। একইভাবে ঢাকা থেকে আসে রাজারহাট-বি ও পূবালী।
লকডাউনের মধ্যেই ১ আগস্ট থেকে চালু হওয়া রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে গণ পরিবহন চালু করা হয়। তবে তাতেও শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি কমেনি। প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পর রোববার স্বল্পসংখ্যক মানুষ যে ভাবে পেরেছেন গন্তব্যে পৌছেছেন।
ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে এসেছিলেন, তারা আগে ফিরতে না পারায় চাকরি হারানোর ভয়ে শ্রমিকরা জীবনের মায়া উপেক্ষা করে দলবেঁধে কর্মস্থলে ফিরছেন। তবে পথে পথে কোথাও ছিলেনা স্বাস্থ্যবিধি মানার বাইলাই নেই। ঘাট ইজারাদাররা জানান, রোববার থেকেই ঘাটে ঘাটে প্রচুর মানুষ হুমরি খেয়ে পরছে।
এমনই একজন লঞ্চ যাত্রী মোসা. রোকেয়া বেগম বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ কিংবা মৃত্যুর চোখ রাঙানিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে একমাত্র জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফিরছি। পথে পথে ভোগান্তি আর অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হলেও যেতে বাধ্য হচ্ছি। কারণে বর্তমানে কর্মের খুবই সংকট। সামান্য বেতন ও ছোট চাকুরে সেটি হারালে পরিবার পরিজন নিয়ে খাবো কি?’
স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে কর্মজীবী মানুষদের কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে তৃণমুল পর্যায়ের হলেও এ জনপদের স্থানীয়রা যে মতামত ব্যক্ত করেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্পের অবদান রয়েছে। লাখ লাখ কর্মী এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। এ বেসরকারি খাতের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যাও দূর হচ্ছে। আবার তারা অর্থনৈতিক চাকাও সচল রাখছে। তাই এসব শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে পড়লে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।
তবুও আরও কিছুটা সময় বিলম্বিত করে প্রতিষ্ঠান খুললে দেশের জন্য আরও ভলো হতো। কোথাও যেতে দোষ নেই। তবে তাদের সুরক্ষা জরুরি। তাই অবাধে চলাচাল না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা উচিত। এ ব্যাপরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষেরও দায়দায়িত্ব রয়েছে। যাত্রীদের নিয়ে তাদেরও অবহেলার কোন সুযোগ নেই।