মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, গতকাল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে আমার প্রতিপক্ষ সেবেক চেয়ারম্যান খালেক জোমাদ্দার ও তার সহযোগীরা। খালেক জমাদ্দারের সন্ত্রাসী বাহিনী অসীম, জুয়েল, উজ্জ্বল, কপিল ও কাদেরসহ আরও সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের বগে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তবুও আমাকে নির্বাচন থেকে ফেরাতে পারেনি। জনসাধারণ আমাকে নৌকা প্রতীকে বিপূল ভোটে নির্বাচিত করে।
এতে সাবেক চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ১৭ তারিখ বৈকালীন বাজারে বসে আমিসহ আমার সাথের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে ফরিদ, ফোরকান, মারুফ আলী হোসেনসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এবং আলী হোসেনের দোকান লুট করে।
আমি সাথে সাথেই এঘটনা স্থনীয় পুলিশকে জানালে ওসি ঘটনাস্থলে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, আমার লোকজনের উপর হামলা করে, উল্টো তারা মাথায় ব্যান্ডেজ লাগিয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবে ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে যাহার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। সাবেক চেয়ারম্যান খালেক জমাদ্দারের বাড়ি আমার বাড়ির সামনে তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত ডাকাত মহিউদ্দিন তার বাড়িতে আনাগোনা করে যেকোনো সময় তারা আমার উপরে হামলা করতে পারে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জেলা প্রশাসনের কাছে আমার দাবি আমি চেয়ারম্যান হয়ে আমার ও আমার কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আসা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সদস্য শিমা রানী দাস বলেন, অসীম ও জুয়েল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে বরগুনা বামনা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরা দুজনেই ঢাকায় থাকে। ঢাকা থেকে মাদক এনে এলাকার ছেলেপেলেদের দিয়ে সমাজ ও পরিবেশ নষ্ট করে। এদেরকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় না আনলে এলাকায় বড় ধরনের একটি অঘটন ঘটতে পারে। এদের কারণে সাধারণ মানুষ আজ অতিষ্ঠ হয়ে আছে।