কুড়িগ্রামঃ ভারতের ইটভাটা থেকে কাজ করে বাংলাদেশে ফেরার পথে ভারতের কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হওয়া কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের অভ্যন্তরের বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার সমন্বয় পাড়ার একই পরিবারের ৭ নারী পুরুষ ও শিশুর মুক্তির উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তাঁদের পরিবার ।
পরিবারের পক্ষে মোঃ আশরাফুল আলম গত ৬ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমেএ আবেদন করেন । ৪ জুলাই ভারতের কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ বিএসএফ আটক করে থানায় সোর্পদ করে ।পরে পুলিশ তাদের জেল হাজতে পাঠায়। আটক ব্যক্তিরা হলেন, মোঃ সিরাজুল পিতা মৃত,সোনামিয়া (৫০) তার স্ত্রী,মোছা : শিফাহারী ওরফে শেফালী(৪৫),পুত্র মো: হাবিবার(১৮), মোঃ নুরনবী(২৩), পুত্রবধূ (নুরনবীর স্ত্রী)মোছাঃ শালিমা (১৮) নাতি (নুরনবীর পুত্র) মো:সাকিবুল(৭), নাতনি (নুরনবীর মেয়ে)মোছাঃ নুরনাহার (৫)।
মামলার এজাহার ও আটককৃতদের পরিবার জানায়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তাঁরা ভারতে ছিলেন । কিন্তু ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের পর ফিরে এসে তারা বাংলাদেশে থাকার অপশন দিয়ে আবারও ভারতে চলে যান ।
আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য আবেদনকারী আশরাফুল আলম জানান, গত ৫ জুলাই সকালে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ এবং উপজেলার কাশিয়াবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের একজন সদস্য তাদের বাড়িতে এসে জানায়,তাদের পরিবারের ৭ সদস্য বাংলাদেশের পাথরডুবি সীমান্তের ওপারে ভারতের সাহেবগঞ্জ বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন ।পরে তাদের নাম, ঠিকানা ও ছবি প্রর্দশন করে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত হয়ে ফিরে আসেন । তাদের দেওয়া তথ্য মতে আমি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি বিজিবি ক্যাম্পে হাজির হয়ে জানতে পারি আটক ব্যক্তিদের বিএসএফ থানায় হস্তান্তর করেছে। তারা জানায় আটক ব্যক্তিদের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের জিম্মায় নিলে তারা ছাড়া পেতে পারেন।
ছিটমহলের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় আন্দোলনের বাংলাদেশ অংশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খান বলেন, ভারতে আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিক ।তারা বাংলাদেশ সরকারের ২০১৬ সালের গেজেটভুক্ত ।তাই তিনি তাদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক জনাব রেজাউল করিম আবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের নাগরিকত্বের বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে ।