বগুড়াঃ জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নে রোববার (১৮ জুলাই) বেলা ১১.৩০ টার দিকে ভিজিএফের চাউল সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় পরিষদ চত্বরে চাউলের প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষারতদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ভিজিএফের চাউল সহায়তা পেতে সকাল ১০ টার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আসতে থাকে তালিকাভুক্তরা। দুপুর ১২ টার দিকে ১ নং ওয়ার্ডের তালিকাভুক্তদের প্রত্যেক কে ১০ কেজি চাউল প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। এরপর অন্য ওয়ার্ডগুলোর তালিকাভুক্তদের মাঝেও ১০ কেজি হারে চাউল প্রদান অব্যাহত থাকে।
ভিজিএফের চাউল সহায়তা পেতে অপেক্ষারত তালিকাভুক্ত অসহায় মহিলারা পরিষদ চত্বরের বিভিন্নস্থানে গোলভাবে আবদ্ধ হয়ে ক্লান্ত সময় পার করার চেষ্টা করেন। তালিকাভুক্ত অসহায় পুরুষদেরও বিক্ষিপ্তভাবে ভিড় জমিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অপেক্ষার পর চাউল হাতে পেয়ে ক্লান্তি ও কষ্ট ভুলে অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
ভিজিএফের চাউল গ্রহনকারী অসহায় মাহবুব হোসেন দুলাল জানায়, ঈদের পূর্বমূহূর্তে সরকারি চাউল পেয়ে খুব ভাল লাগছে। চাউল ভাল মানের বলে মনে হচ্ছে।
বিধবা মরিয়ম বেগম বেগম বলেন, অপেক্ষার পর সরকারি চাউল হাতে পেয়ে ভাল লাগছে। আমি একা মানুষ। আমার আয়ের কোন উৎস নাই। শারিরীকভাবে ততটা সক্ষম না হওয়ায় মানুষের কাছে সহায়তা চেয়ে নিয়ে জীবিকা চালাতে হয়। সহায়তা চাইতে গিয়ে শুনতে হয় অনেকের কটুকথা। সরকারি চাউল পেয়ে তাই আমি অনেক খুশি।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, ভিজিএফের চাউল সহায়তা নিতে তালিকাভুক্তদের মাস্ক পড়তে বাধ্য করা হয়েছে। বিতরনকৃত চাউল অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রলোভনে বিক্রি না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে তালিকাভুক্তদের।
ইউপি সচিব উত্তম কুমার শীল জানান, গোবিন্দপুর ইউনিয়নে ২৭৬০ জন অসহায় লোকজনদের মাঝে ২৭ মে.টন ৬০০ কেজি চাউল ভিজিএফের সহায়তা হিসাবে প্রদান করা হবে। ভিজিএফ সহায়তা পাওয়ার জন্য এ তালিকাভুক্তদের মধ্য শতকরা ৭০ ভাগ নারী।
ভিজিএফের চাউল সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন হেলাল। এসময় ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আল মামুন, ইউপি সচিব উত্তম কুমার শীল, সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।