বাগেরহাটেঃ আর ৩দিন পর পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। এই ঈদুল আযহাকে ঘিরে ইতিমধ্যে জমে উঠেছে মোংলার কোরবানীর গরুর হাঁটগুলো। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত গরুর ব্যাপারিসহ ক্রেতা সাধারণদের স্বাস্থ্য বিধি মানতে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার এবং মাস্ক বিহীনদের মাঝে মাস্ক বিতরণসহ নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।শনিবার (১৭ জুলাই) বিকালে মোংলার গরুর হাঁটে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
দেখা যায়, এই হাঁটগুলোতে পশু সরবরাহ করেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেপারীরা। কেনাবেচা শুরু হলেও তেমন একটা জমে উঠেনি তবে সোম ও মঙ্গলবার পুরোদমে কেনাবেচা চলবে এমনটাই আশা করছেন গরুর বেপারীরা।
এবছরে মোংলা উপজেলায় ২টি অস্থায়ী পশুর হাঁট অনুমোদন দিয়েছেন মোংলা উপজেলা প্রশাসন। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে এসব হাঁটে পশু কেনা-বেচা। হাঁট ২টি হলো চটেরহাট বাজার ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড।
অনুমোদিত হাটগুলোর ইজারাদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনার বিস্তার রোধে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনেই তারা এবারের হাঁট পরিচালনা করছেন।
এরই মধ্যে মোংলার হাঁটগুলিতে কোরবানির পশু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন ব্যাপারীরা। বিক্রিও শুরু হয়েছে হাটে। দু-একদিনের মধ্যে হাটগুলো পুরোদমে জমে উঠবে বলে আশা করছেন তারা।
মোংলার ঐতিহ্যবাহী চটেরহাট পশুহাটের ইজারাদার মোঃ মোস্তফা ইজারদার জানান, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা কোরবানীর পশু কেনা-বেচা করতে পারেন এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ফ্রী মাস্ক বিতরণ ও জাল টাকা ধরার মেশিনের সুবিধা রয়েছে।
এছাড়া মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতায় বারবার ঘোষণা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া অন্য হাঁটের ইজারাদারদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী হাঁটে সকল প্রকার স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাঁটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এখন বেশির ভাগ ক্রেতা শুধু দেখেশুনে দাম যাচাই করছেন। আশা করছি দু- একদিনের মধ্যে কেনাবেচা বাড়বে।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার জানান,মোংলা উপজেলায় মোট ২টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরকারের সকল নির্দেশনায় যারা হাঁট অনুমোদন পেয়েছে তাদেরকে লিখিতভাবে দেয়া হয়েছে।