মানিকগঞ্জঃ পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারনে আজ শনিবার সকাল ১০টার থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজটের দীর্ঘ সারি পাটুরিয়া-ঢাকা মহাসড়কের নবগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৬কিলোমিটার রাস্তা বিস্তৃত হয়ে পড়ে।
এসময় ঈদে বাড়ী ফেরা যাত্রীদের ঘাট এলাকায় এসে দুই-তিন ঘন্টা করে অপেক্ষায় থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এছাড়া, ঢাকার সভার থেকে শুরু করে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারনে ৩-৪ঘন্টা কেটে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অফিস সুত্রে জানান যায়, ঈদে বাড়ী ফেরা যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এ নৌ-রুটে চলাচলরত ১৭টি ফেরির মধ্যে দুইটি ফেরি বিকল হয়ে মেরামতের জন্য পাটুরিয়া ভাসমান কারখানা মধুমতিতে পড়ে থাকায় ১৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অপরদিকে আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ৩টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ দুই নৌ-রুটে ফেরি স্বল্পতা, যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি ও নদীর স্রোতে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগায় ঘাট এলাকায় এ যানজট দেখা দিয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার ৫শ’ যানবাহন পারাপার হয়।
কিন্ত ঈদের সময় প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫হাজার থেকে ৬হাজার বাস, কোচসহ বিভিন্ন যানবাহন পারাপার করতে হয়। ঘাটে তীব্র যানজটের কারনে বিআইডব্লিউটিসির কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস আগে পারাপার করায় পনণ্যবাহী ট্রাক চালকদেরকে ঘাট এলাকায় ২-৩দিন ধরে অপেক্ষায় পড়ে থাকতে হচ্ছে ঘাট এলাকায়।
সভার থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জ গামী ট্রাক চালক পান্নু শেখ জানান, গত শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। কিন্ত ঘাটে যানজটের কারনে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায়ও ফেরিতে ওঠতে পারেননি। এরকম শত শত ট্রাক ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসিরি ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ঈদে বাড়ী ফেরা যাত্রী ও বাস কোচ, ট্রাক ও ছোট গাড়ীনহ বিভিন্ন যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারনে ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।