Dr. Neem on Daraz
Victory Day
মাগুরার মধুমতি নদীতে ভাঙ্গন শুরু

শহীদ আবীরের সমাধি ও ভিটেমাটি নদীগর্ভে যাওয়ার আশঙ্কা


আগামী নিউজ | মোখলেছুর রহমান, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২১, ০৪:৪১ পিএম
শহীদ আবীরের সমাধি ও ভিটেমাটি নদীগর্ভে যাওয়ার আশঙ্কা

ছবিঃ আগামী নিউজ

মাগুরাঃ জেলার মহম্মদপুরের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া মধুমতি নদীতে পানির চাপ ও তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদী ভাঙ্গনে মহম্মদপুর সদরের ইউনিয়নের ৩ গ্রামের বিলীন হতে শুরু করেছে বসত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। ইতিমধ্যে ১৫টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।

এলাকাবাসীর আশঙ্কা এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে নদীগর্ভে চলে যাবে মহম্মদপুরের কৃতি সন্তান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ আবীর হোসেনের সমাধি ও ভিটেমাটিসহ তাঁর নামের একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এলাকাবাসী রউফ মোল্যা জানান, মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে একের পর এক বসত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হতে শুরু হয়েছে। প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে নদী তীরবর্তি অনেক মানুষ ভূমিহীন হয়ে এখন নিঃস্ব। ইতিমধ্যে সদর ইউনিয়নের কাশিপুর, ধুলজুড়ি ও ভোলানাথপুর এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ১৫টি পরিবার তাদের বসত ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কাশিপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মুক্তিযদ্ধের বীর শহীদ আবীরের সমাধি ও ভিটেমাটি। শহীদ আবীর কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া মাদ্রাসা ও মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে।

তিনি স্থায়ী সমাধান দাবি করে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি পরিকল্পিতভাবে নদী ভাঙ্গনরোধে কাজ করে তাহলে এলাকার অনেক মানুষ ভুমিহীন হতে বাঁচতো।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল জানান, নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদরের ৩টি গ্রাম পরিদর্শণ করেছেন। শহীদের সমাধি ও বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় উপজেলার কাশিপুর এলাকায় মধুমতি নদীতে ফেলা হবে অস্থ্ায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা জিও ব্যাগ।

মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন জানান, মধুমতি নদীতে ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় ৩০০ মিটার জিও ব্যাগ ফেলানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে কাশিপুর এলাকায় দুইটি প্যাকেজে ৭৫মিটার করে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। অস্থায়ীভাবে শহীদ আবীরের সমাধি ও স্থাপনা রক্ষা করা যাবে। প্রতি ৭৫ মিটারে ফেলা হবে ৬ হাজার ৫০০ বস্তা জিও ব্যাগ। যার কাজ পেয়েছে ন্যাচারাল এন্টারপ্রাইজ ও শিকদার এন্টারপ্রাইজ নামে দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পবিত্র ঈদুল আযহার পরেই প্রতিষ্ঠান দুটি কাজ শুরু করবে।

প্রসঙ্গত, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন মহম্মদপুর উপজেলার ৫টি যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ১৬ই অক্টোবর স্থানীয় জয়রামপুরের যুদ্ধে শহীদ হন। ওই যুদ্ধে প্রায় ১’শ পাকিস্তানী সেনা নিহত হয়েছিল।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে