নোয়াখালীঃ জেলার সেনবাগ উপজেলায় তিন মাসের অন্তঃস্বত্তা এক গৃহবধূ রহম্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত সাবিতা চন্দ্র দাস (৩৫) লক্ষীপুর সদর উপজেলার ৫নং পার্বতী নগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের রামজয় মন্দির বাড়ির রনজিৎ চন্দ্র দাসের মেয়ে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের যুগি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত খোকন চন্দ্র দাস (৪৫) উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের যুগি বাড়ির যোগেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
নিহতের পিতা রনজিৎ অভিযোগ করেন, গত ৭-৮ মাস আগে খোকন চন্দ্র দাসের সাথে সাবিতার বিয়ে হয়। সাবিতা তার স্বামীর সাথে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করত। এটা তার তৃতীয় বিয়ে ছিল। আর তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এবং তার স্বামীর আগের ঘরের দুই মেয়ে ছিল। কিছু দিন আগে ছোট মেয়ে স্বামীর বাড়িতে বনিবনা না হওয়ায় বাবার বাড়িতে চলে আসে। সেই থেকে তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার সাথে তার মেয়ের খারাপ সম্পর্ক ছিল। এটা নিয়ে সাবিতা তার স্বামীকে প্রথমে সতর্ক করে। একপর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানোর কথা বললে তার স্বামী তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে সে ঘরে মরদেহ রেখে পালিয়ে গেলে তার ভাইয়েরা সাবিতাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। কিন্তু খোকনের পরিবার আমাকে জানায়, আমার মেয়ে বিষপান করে মারা গেছে। তিনি আরও জানা, তার মেয়ের গলায় এবং হাতে কালো আঘাতের দাগ রয়েছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবদুল বাতেন মৃধা জানান, এঘটনায় নিহতের পিতা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে স্বামী খোকন চন্দ্র দাসকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত খোকনকে গ্রেফতার করে। ওসি আবদুল বাতেন মৃধা আরও জানান, গ্রেফতারকৃত খোকনকে মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।