ফুলবাড়ীতে আকস্মিক ঝড়ো হাওয়া: লন্ডভন্ড বসতভিটার ৬ টি ঘর
আগামী নিউজ | জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২১, ০১:৩৯ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
কুড়িগ্রামঃ আশেপাশের ঘরবাড়ির ঠিক থাকলেও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আচমকা দমকা হাওয়া ও ঝড়ে একটি বাড়ির ৬টি বসতঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় এ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়লই গ্রামের গ্রামের মৃত চেংটু মামুদের ছেলে আজিজুল হক (৪৩) এর বাড়িতে। এ সময় আজিজুলের বাড়ীর পাশে অবস্থিত নুরুজ্জামান মিয়ার বরেন্দ্র সেচ পাম্পের পাকা ঘরটিও সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রবল বেগে বাতাস এসে আচমকা ভাবে আঘাত হানে আজিজুল হকের বাড়িতে। এতে ওই বাড়ির ছয়টি টিনশেড ঘর দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তবে এলাকার অন্যান্য ঘরবাড়ির তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অলৌকিক রকমের এই ঘটনা এক নজর দেখতে মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই স্থানে ভীর জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।
বাড়ীর মালিক আজিজুল হক জানান, মাগরিবের নামাজের কিছুক্ষন পর হালকা বৃষ্টির সাথে হঠাৎ দমকা বাতাস শুরু হয়। লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই দমকা বাতাস এসে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ৪টি টিনশেড বসতঘর ও মুরগীর খামারের ২ টি টিনশেড ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় বিছানাপত্র সহ সকল আসবাব তছনছ হয়। ছুটাছুটি করতে টিন এবং বাঁশ-কাঠের আঘাতে তার স্ত্রী জাহেদা বেগম (৩০) সামান্য আহত হয়েছেন। উড়ে যাওয়া ঘরের টিনগুলোর এখন পর্যন্ত কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় আব্দুস সামাদ বসুনিয়া, আজিজার রহমান, মাহবুবুর রহমান মুকুল সহ কয়েকজন ব্যাক্তি জানান, জমিটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। গত জানুয়ারিতে রাতের আঁধারে আজিজুল ওই জমির উপর বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ি নির্মাণের ছয় মাসের মাথায় আচমকা বাতাসে সব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। কিন্তু আশেপাশের সব ঘরবাড়ি ঠিক থাকায় এটা আমাদের কাছে অলৌকিক মনে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ নৈদা জানান, ঘটনাটি একেবারেই অলৌকিক। আশেপাশের ঘরবাড়িতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও আজিজুল হকের বাড়ি একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ঘটনার সময় আজিজুলের স্ত্রী দুই সন্তান সহ বাড়িতেই ছিলেন। টিনের ভাঙ্গা অংশ লেগে আহত হয়েছেন। বাতাসে ঘর ভাঙ্গার পর তারা পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ে পরিবারটির অনেক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান খয়বর আলী রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।