নওগাঁঃ জেলা প্রশাসক নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুরে চলমান লকডাউন শিথিল করে জেলায় ১৬ জুন পর্যন্ত ১৫ টি বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও ধামইরহাটের অধিকাংশ মানুষই তা মানছে না। নিয়ম না মেনে জনসমাগম করায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক জানান, এ জেলায় সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখা যাবে। তবে চায়ের ষ্টল বন্ধ থাকবে। হোটেল রেস্তোরাগুলো পার্সেলের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করতে পারবে।
মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যাত্যয় হলে তাৎক্ষনিক মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত বাড়ি বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। আবার কতিপয় লোকজন সঠিক নিয়ম না মেনে মাস্ক পড়ে মুখ ঢাকলেও নাক ঢাকছেনা। আবার অনেকেই দুই কানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছেন মাস্ক। অনেকেই মাস্ক পকেটে রেখে ঘুরাফেরা করছে। প্রয়োজন ছাড়াও অনেককে দেখা গেছে বাহিরে ঘুরাঘুরি করতে। চা ষ্টলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও প্রায় ষ্টল খোলা রয়েছে।
বেশির ভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তায় ঘোরাঘুরিসহ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম সেরে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন । তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধের সতর্কতা নেই বললেই চলে। হাত না ধুয়ে অনেককে বাজার ও দোকানে নাস্তা খাওয়া দেখা গেছে।
এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে। করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও ধামইরহাটে মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো কঠোর হওয়ার প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ধামইরহাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, মানুষের সচেতনতাই পারে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ আরো ভয়াবহ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গনপতি রায় জানান, স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। জনবহুল স্থানে, বিভিন্ন মোড়ে ও দোকানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত কল্প অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।