নারায়নগঞ্জঃ নাশকতা ও ধর্ষণসহ ছয় মামলায় রিমান্ড শেষে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।১৮ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার সকালে মামুনুলকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাওছার আলম এর আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত শুনানী শেষে মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়সড়কেরনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সহিসংতার দুইটি মামলায় মামুনুল হককে ছয়দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আরেক মামলায় তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এর আগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তার কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার করা ধর্ষণ মামলাসহ সোনারগাঁ দায়ের করা তিন মামলায় মামুনুলকে নয়দিনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জেলা পুলিশ। মোট ছয়টি মামলায় তিন দিন করে ১৮ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। সব শেষ পিবিআই মামুনুল হক কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক মামলার ঘটনা সংক্রান্তে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান সহ হেফাজতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছে যা তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানান পিবিআই নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা এক নারীসহ সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোটে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রিসোটে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে মামুনুলককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।