কাজ না করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
আগামী নিউজ | সুমন ইসলাম, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২১, ০৬:২৮ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
ফরিদপুরঃ সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ২০২০-২১ অর্থ বছরের দুটি প্রকল্পে কোন কাজ না করে বিল উত্তোলন করে নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এরমধ্যে দুটি প্রকল্পের কোন কাজ না করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি/সম্পাদক নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা দেখা, আরিফ বাজার মাদ্রাসা থেকে আয়নাল হক মাস্টারের বাড়ী পর্যন্ত একটি রাস্তার মাটি ফেলার কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে কোন কাজ করা হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় এক কোদালও মাটি কেটে ফেলা হয়নি। অথচ এ কাজ দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য কবির মোল্যা। অভিযোগ রয়েছে, অন্য রাস্তার ছবি তুলে তা বিল আকারে জমা দিয়ে ঈদের আগেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের লক্ষীদাসের হাট থেকে বিষ্ণুপুর মাদ্রাসা পর্যন্ত ফ্লাট সলিং রাস্তা ও মেরামত এবং কালভার্ট পুনঃ নির্মানের কোন কাজ না করেই ১ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তা ও কালভার্ট পূনঃ নির্মানের কোন কাজই করা হয়নি। অথচ তার বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রেজাউল করিম বাচ্চু ও লিটন বিশ্বাস সেকেন সমস্ত টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে যুক্ত ইউপি সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঈদের আগে ইউএনও অফিসের লোক সরেজমিনে এসে কাজ দেখে তারপর আমাদের বিল দেওয়া হয়েছে। অথচ এখন বলা হচ্ছে আমরা কোন কাজই করিনি।
এ বিষয়ে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু বলেন, দুটি কাজ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা বলেন, দুটি প্রকল্পে কোন কাজ না করে বিল উত্তোলনের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে তদন্তের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি কাজ না করে বিল তুলে নেবার ঘটনা ঘটে তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা।