কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আটক-১
আগামী নিউজ | মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৮, ২০২১, ১১:০৩ এএম
ফাইল ফটো
নোয়াখালীঃ জেলার কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বিবাদ দ্বন্দ্বের জের ধরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৭ মে) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মির্জা কাদেরের অনুসারী সাইফুল ইসলাম সাহেদ (৫০), নামে একজনকে আটক করেছে। সে পৌরসভা ৬নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির মৃত নুরনবী চৌধুরী চৌধুরীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরী, কেচ্ছা রাসেলসহ ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল উপজেলা আ.লীগ অনুসারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরীর ওপর প্রথমে হামলা চালায়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে এতে উপজেলা আ’লীগ অনুসারী কামরান পাশা মঞ্জিল চৌধুরী (২৪), নাকে এক তরুণ আহত হয়। আহত তরুণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের ভাতিজা। প্রতিপক্ষের হামলায় তার একটি দাঁত পড়ে যায়।
এ ঘটনার জের ধরে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসুরহাট নতুন বাস উপজেলা আ.লীগ অনুসারী আক্রাম উদ্দিন সবুজ পারিচালিত ড্রীম লাইন পরিবহনের ৫টি বাস ভাঙচুর করে। বসুরহাট পৌরসভায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা রুমেল চৌধুরী এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরী (সম্পর্কে চাচাতো জেঠাতো ভাই)।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি গণমাধ্যম কর্মিদের জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা ড্রীম লাইন পরিবহনের ৫টি বাস ভাঙচুর করে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। যে কোন কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আগামীনিউজ/এএস