ঠাকুরগাঁওঃ আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে কেনাকাটার লোকজনের উপচেপড়া ভিড়, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি লকডাউনে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ বিভিন্ন উপজেলায় তা মানা হচ্ছে না। ফলে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে এই এলাকার মানুষ।
বৃহস্পতিবার( ৬ মে) সকাল থেকে সদর উপজেলার নরেশ চৌহান রোডের এবং পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের ঢাকাইয়া পর্টি কাপড়ের মার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় এসময় ক্রেতা ও বিক্রেতার কাউকে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।
এমনকি শিশু বাচ্চাদের মুখেও নেই মাস্ক। এদিকে ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে উপজেলার মার্কেটগুলোতে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মানতে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে দেখা যায়নি ব্যবসায়ীদেরও। লকডাউন চললেও বর্তমানে পীরগঞ্জে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। আর স্বাভাবিক সময়ের মতই চলাচল করছে জনগণ। হাটবাজার, চায়ের দোকান, রাস্তাঘাট, ব্যাংকসহ প্রতিটি স্থানেই জনসমাগম লেগেই আছে। নেই স্বাস্থ্যবিধির মানার বালাই। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কোথাও কোথাও কয়েক দিন আগে প্রশাসনের অভিযান চললেও, তা আমলেও নিচ্ছে না জনগণ।
এ দিকে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, ০৬ মে পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের ১ হাজার ৬৪৯ জন।সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৫৩০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৪ জন।
সদর উপজেলার ১নং চিলারং ইউনিয়নের বাঁশগাড়া গ্রামের সাবিনা আক্তার ও শিউলি বেগমের সাথে কথা হলে তারা বলেন বছরের প্রথম ঈদের একটু নতুন কাপড় চোপড় না হলে কি চলে আপনারাই বলেন, আমাদের শুধু করোনার ভয় দেখান আমাদের করোনা ধরবেনা মাকের্ট শেষ করে চলে যাবো আমরা করোনা কে রেখে।
শিক্ষক মোঃ সলেমান আলী বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের কোনো নির্দেশনা জনগণ মানছে না। মার্কেট গুলোতে প্রচুর ভিড়। ক্রেতারা ও বিক্রেতারাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারনে এই উপজেলাতে ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে কোভিড ১৯ ভাইরাস। যদিও সরকারের বিভিন্ন পক্ষ থেকে বার বার জনগণকে সচেতন করার চেষ্ট করা হচ্ছে। কিন্তু জনগণ মানছে না। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সরকারের সকল দফতরের তৎপরতা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান তিনি।
আগামীনিউজ/নাহিদ