বগুড়াঃ তিনমাস প্রতীক্ষার পর কৃষক ঘরে তুলতে শুরু করেছে ধান।নতুন ধান ঘরে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক পরিবারের সদস্যরা। মেহনতের ফসল এই ধান কে ঘিরেই আবর্তিত হয় কৃষকের জীবন সংসার। তাই তো নতুন ধানের গন্ধে মাতোয়ারা হয়েছে কৃষকের হৃদয়।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে এখন ধান প্রক্রিয়াজাত (মাড়াই) ও সংরক্ষনের দৃশ্য চোখে পড়ছে। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌর এলাকার কৃষকদের বাড়ির উঠানে চলছে ধান মাড়াই ও রোদে ধান শুকানোর কাজ। ধান শুকানো শেষ হলে ওই শুকনো ধান বহন করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কৃষকের গোলা ঘরে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপচাঁচিয়া উপজেলার আমশট্ট গ্রামের তালুকদার পাড়ায় দেখা গেল বোরো ধান কে ঘিরে কৃষকের উঠানের ব্যস্ততা। উঠানের এক কোনে মেশিনের সাহায্যে মাড়াই করা হচ্ছে ধান। মাড়াই করা ধান উঠানে স্তুপ করে রাখছে পুরুষরা আর সেই ধান ছোট ধারকগুলিতে বহন করে রোদে শুকাতে দিচ্ছে নারীরা।
কৃষক মোজাফ্ফর আগামী নিউজকে বলেন, এবার ধানের ফলন ভাল হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারনে দ্রুত ধান ঘরে তোলা কঠিন হচ্ছে। আবহাওয়া যেকোন মূহূর্তে বৈরি হতে পারে, সেকারনে আমাদের মনে শংকাও আছে। এবার প্রতিবিঘায় ১৬ থেকে ২৪ মন পর্যন্ত ধান পাওয়া পাচ্ছে। যেসব জমিতে আলু, সরিষার আবাদের পর ধান রোপণ করা হয়েছে সেসব জমিতে ধানের ফলন কম আর যেসব জমিতে শুধুমাত্র ধানের আবাদ করা হয়েছে সেসব জমিতে ধানের ফলন বেশি হয়েছে।
কৃষকবধূ জিনাত আরা আগামী নিউজকে বলেন, কৃষির আয় থেকেই আমাদের সংসার চলে। তাই আমরা ধানের জন্য প্রতীক্ষা করি। ধানের সাথে আমাদের মায়া-মমতা, ভাললাগা জড়িয়ে আছে। উৎপাদনের সাথে পুরুষরা জড়িত হলেও ধান প্রক্রিয়াজাতকরন ও সংরক্ষনের কাজে আমরা নারীরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।
আগামীনিউজ/এএস