ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিজস্ব পরিবহন করে বিভাগীয় শহরগুলোতে পৌঁছে দেয়ার জন্য লকডাউনে ঢাকায় আটকে থাকা শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
মঙ্গলবার (৪মে) মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপাচার্য অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়,করোনা মহামারীর জন্য চলমান লকডাউন ১৬ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ঈদের আগে আন্ত:জেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী
মেসের ভাড়া পরিশোধ, খরচ চালানোর জন্য এই লকডাউনেও পুরান ঢাকায় থেকে টিউশনি করে গেছে একটা আশা ছিল, লকডাউন ছাড়লে বাড়ি যাব।
কিন্তু, সে আশাটি এখন অধরা থেকে যাচ্ছে। বিগত কয়েকদিনে যারা প্রাইভেট কার, হাইসে বাড়ি গিয়েছেন তাদের সবারই প্রায় ১২০০,১৫০০ কিংবা ২০০০ টাকা করে যাতায়াত খরচ লেগেছে। পুরান ঢাকায় যারা টিউশনির জন্য এতদিন থেকে গেছে আমাদের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পক্ষে এত টাকা বহন করে বাড়ি যাওয়া সম্ভব হবে না।
মেসের ভাড়া,খাবার খরচ,যাতায়াত ভাড়া একসাথে সব খরচ বহন করা সম্ভবপর হচ্ছে না অন্যদিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নেই এবং এই লকডাউনে ও ইদে একাকী ঢাকা অবস্থান করাটাও শিক্ষার্থীদের পক্ষে অসম্ভব। এমতাবস্থায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই লকডাউনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন দিয়ে পুরান ঢাকায় আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের ৮টি বিভাগীয় শহরগুলোতে পৌঁছে দেয়ার জন্য বিনীত মানবিক অনুরোধ রইলো।করোনার লকডাউনে এই ক্রান্তিলগ্নে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য আমাদের জবিয়ানদের জন্য এই মানবিক উদ্যোগটি গ্রহন করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, স্মারকলিপিটা পেয়েছি এবং আমি পড়েছি।এ বিষয়ে আমি উর্ধতন পর্যায়ে আলোচনা করেছি আসলে এটা সম্ভব না,যেহেতু লকডাউনে ঢাকার বাইরে কোনো গণপরিবহন যেতে পারবে না।
উল্যেখ্য যে, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ দেয়া হয় । এদিকে অনলাইন ক্লাস করার পর্যাপ্ত নেটওয়ার্ক না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অবস্থান করেছিলো। অতঃপর, ঈদেও বাড়ি ফেরায় অনিশ্চয়তা।
আগামীনিউজ/জনী