ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ: আহত ৩০
আগামী নিউজ | আজহারউদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০১:০৫ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ সদর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে হয়েছে। ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে উভয় গোষ্ঠীর আহতরা হলেন, কাপ্তান(২০), গোলাপ খাঁ(৬০), ইয়াকুব(২৩), মোমজান বেগম(৩৮), সালমান(২৫), আরফুজ মিয়া(৬০), কাকলি(১৬), তোফাজ্জল(১৬), বিপ্লব(২২), তকদির(১৬), জলফু মিয়া(৬০), কাপ্তান মিয়া(১৪), ইজান(২৬), মারজান(২৭), নেহেরা(২৭), নুরজাহান(২০) প্রমূহ।
পুলিশের ভয়ে বাকি আহতরা চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে আসেনি। তাই অন্যান্য আহতের নাম শনাক্ত করা যায়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজকে সন্ধ্যায় গোলাপ খাঁ গোষ্ঠীর সাথে একই এলাকার আক্কাস আলীর গোষ্ঠীর লোকদের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'গোষ্ঠীর মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে আক্কাস আলীর ছেলে রব্বানী, হাকিম, বাদল ও আকবরসহ অর্ধশতাধিক লোক গোলাপ খাঁ' ও শাহ আলমের গোষ্ঠীর লোকদের উপর হামলা করেন। ওই হামলায় উভয় গোষ্ঠীর অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। বাকি ৪-৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গোলাপ খাঁ জানান, গত পাঁচ বছর আগে আক্কাস মিয়ার ছেলে রব্বানি সাথে তার ভাই শাহ আলমের মেয়ে শিউলীকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর শিউলীকে খুব মারধোর করতেন রব্বানী। কেন মারধোর করেন? এ বিষয় শাহ আলম বিচার দিয়েও কোন হদিস পাননি। তা নিয়ে আক্কাস আলীর গোষ্ঠীর লোকদের সাথে একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল তাদের। এসব বিষয় নিয়ে দু'গোষ্ঠী লোকেরা সদর থানায় একাধিক মামলাও করেছেন৷
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কি কারনে এই সংঘর্ষ হয়েছে এখনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে জানানো হবে। এ ব্যাপারে সদর থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি।
আগামীনিউজ/এএস