Dr. Neem on Daraz
Victory Day

১২ বছরেও চালু হয়নী ইন্দুরকানী স্বাস্থ্যকেন্দ্র


আগামী নিউজ | নাছরুল্লাহ আল কাফী, পিরোজপুর প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১, ১০:৩০ এএম
১২ বছরেও চালু হয়নী ইন্দুরকানী স্বাস্থ্যকেন্দ্র

পিরোজপুরঃ সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করেও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার লাখো মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, মেডিক্যালের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ পর্যাপ্ত অফিস ব্যবস্থাপনা থাকলেও গত ১২ বছরেও চালু হয়নি ইনডোর সেবা অথবা আবাসিক চিকিৎসা। লোকবলেও রয়েছে সংকট আবার যারা দায়িত্বে আছেন মানছেন না অফিস টাইম।

বর্তমান সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের মান বৃদ্ধির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, মেডিক্যালের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ পর্যাপ্ত করেছে অফিস ব্যবস্থাপনা। এতো কিছু থাকলেও গত ১২ বছরেও চালু হয়নি হাসপাতালটির ইনডোর সেবা বা আবাসিক চিকিৎসা।

স্থানীয় রোগী ও স্বজনরাদের কাছ থেকে জানাযায়, ২০০৮ সালে ইন্দুরকানী হাসপাতালটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইনডোর সেবা চালু হয়নি সুধু মাত্র বিশুদ্ধ পানির অভাবে।

ফলে এ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং উন্নত মানের চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীদের পিরোজপুর, খুলনা, বরিশাল এমনকি ঢাকাতে গিয়েও চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালের উন্নয়নে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও মূল সমস্যা বিশুদ্ধ পানির অভাব। পানি সমস্যা সমাধানে কাজ করেনি কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই চালু হচ্ছে না আবাসিক চিকিৎসা।

এদিকে হাসপাতালটিতে লোকবলেও যেমন রয়েছে সংকট আবার যারা দায়িত্বে আছেন মানছেন না অফিস টাইম। হাসপাতালটির হাজিরা খাতায় দেখা যায় প্রধান সহকারী খালেদা নাসরিন'সহ কয়েক জন কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই নিয়মিত। সুধু তাই নয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নৈশপ্রহরী দিয়ে চালানো হচ্ছে ইমারজেন্সি বিভাগ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আমিন-উল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটিতে লোকবলেও যেমন সংকট রয়েছে এবং পানি সমস্যা সমাধান হলে আবাসিক চিকিৎস্যাও দিতে পারবো।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার বলেন, দ্রুতই সমস্যা সমাধানে চেস্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু, ইনডোর সেবা চালু না থাকার কারণে তাদের জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে। তাই এই সমস্যা দ্রুত সমাধানে এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা ভোক্তভুগী জনগনের।

আগামীনিউজ/জনী

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে