ভাল ফলনেও হাসি নেই ফরিদপুরের বাঙ্গি চাষীদের মুখে
আগামী নিউজ | সুমন ইসলাম, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২১, ০১:৪২ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত
ফরিদপুরঃ চলতি বছর লালমি ও বাঙ্গির চাষ করে বেশ লোকসানের মধ্যে পড়েছেন ফরিদপুরের চাষীরা। ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানের খেতেই নষ্ট হচ্ছে লালমি-বাঙ্গি। দাম না পাওয়ায় এবং লকডাউনের কারণে বাজারে লোক সমাগম কম থাকায় চাষীদের কাছে পাইকাররা আসছেনা। ফলে অনেক খেতেই এখন নষ্ট হচ্ছে লালমি-বাঙ্গি।
ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচে বেশি লালমি-বাঙ্গির আবাদ হয় সদরপুরের কৃষ্টপুর ও ভাষানচর ইউনিয়নে। এ বছর রোজাকে সামনে রেখে অধিক জমিতে চাষীরা লালমির আবাদ করেছিলেন। ফলন আশাতিত হলেও দাম না থাকায় খেতেই নষ্ট হচ্ছে লালমি-বাঙ্গি।
স্থানীয় চাষীরা জানান, গত বছর করোনা থাকলেও বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসেছিলেন তারা ট্রাকে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে লালমি-বাঙ্গি নিয়ে গিয়েছিলেন। এবছর কেউওই আসছেনা। এছাড়া ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসতেন লালমি-বাঙ্গি কিনতে। তারা এখান থেকে কিনে নিয়ে দোকানে ও ভ্যানে করে তা বিক্রি করতেন।
এবার সেই ব্যবসায়ীরাও আসছেন না। ক্রেতা না থাকায় চাষীরা এবার বেশ লোকসানের মধ্যে পড়বেন বলে জানান তারা।
সদরপুরের মটুকচরের চাষী রাজিব বেপারী জানান, এক বিঘা জমিতে লালমী-বাঙ্গি চাষ করতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। লকডাউনের কারণে এ বছর ঢাকা থেকে পাইকার না আশায় লালমী-বাঙ্গি বিক্রি করতে পারছিনা। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে লালমির আবাদ করলেও খরচ উঠা নিয়েই হিমশিম খেতে হবে।
কৃষ্টপুরের চাষী হান্নান মোল্যা জানান, গত বছর প্রকারভেদে একেকটি লালমি-বাঙ্গি ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ দিয়ে তাদের খরচ উঠানোই মুশকিল হবে বলে জানান তিনি।
আগামীনিউজ/এএস