ঝালকাঠি: শহর সংলগ্ন নলছিটির ঈশ্বরকাঠি গ্রামে ক্ষেতের ধান খাওয়ায় বাবুই পাখির ৩৩টি বাচ্চা পুড়িয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় জালাল সিকদারের ক্ষেতের ধান খাওয়ায় তিনি ওই এলাকার সিদ্দিক মার্কেটের সামনের তাল গাছে থাকা বাবুই পাখির বাসায় বাঁশ দিয়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারেন ৩৩টি বাবুই ছানা। এ ঘটনায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এক যুবক ঘটনার ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিলে শনিবার (১০ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় ।
জানা গেছে ঈশ্বরকাঠি গ্রামের জালাল সিকদারের রোপন করা বরো ধান প্রায় পেকে এসছে । সেই ধান খায় বাবুই পাখি । একই গ্রামের মরহুম আফসার মল্লিকের জমির একটি তালগাছে বাবুই পাখির প্রায় শতাধিক বাসাছিল । জালাল সিকদারের ধারণা এই তালগাছের বাসাবাধাঁ বাবুই পাখিরা তার ধান খেয়ে নস্ট করছে । তাই শুক্রবার দুপুরে তিনি বাঁশের মাথায় মশাল বানিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন তালগাছের বাবুই পাখির বাসায় । আগুনে তাপে বড় বাবুই উড়ে যেতে পারলেও মারা পড়ে ৩৩ টি বাচ্চা ।
স্থানীয় বাসিন্দা জুলহাস মল্লিক বলেন, নিষ্ঠুর এই ঘৃণ্য কাজ মানুষ করতে পারে, তা ভাবতেই অবাক লাগে। বাবুই পাখির অপরাধ হচ্ছে ‘ক্ষেতের ধান খাওয়া’।
এলাকার পাখি প্রেমী অভিজিৎ চন্দ্র বলেন, শনিবার ঝালকাঠি বনবিভাগ লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র মন্ডল বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, এ ঘটনা যদিও খুলনা বন ও বণ্যপ্রানী বিভাগের আওতায়। আমাদের ঝালকাঠি অফিস হচ্ছে সামাজিক বন বিভাগের। তবুও
আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখবো।
বাবুই পাখির নীড়ে আগুন লাগানো জালাল সিকদার বলেন, আমার ক্ষেতের ধান প্রতিদিন পাখিতে খেয়ে ফেলায় আমি আর্থিক লোকসানের দিকে যাচ্ছিলাম। মাথা গরম থাকায় বাসা নষ্ট করেছি। আমি এজন্য অনুতপ্ত।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামীনিউজ/মালেক