গাইবান্ধা: জেলার গোবিন্দগঞ্জের ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদ হত্যাকান্ডের দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও ভাল নেই আপেল মাহমুদের বিধবা স্ত্রী রনি আকতার ও তাঁর একমাত্র শিশুকন্যা ফারাবী আইমান রুশা।
গত ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারী বগুড়ার কাহালু উপজেলার পিলকুঞ্জ এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বার্না চন্দ্রশেখর মোগলটুলি গ্রামের সৈয়দ আব্দুল ওহাবের ছেলে ইনডেক্স বিজনেস কো-অপারেটিভ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিশিষ্ট আমদানী-রপ্তানীকারক আপেল মাহমুদ । সে সময় এটি ছিল একটি আলোচিত হত্যাকান্ড।
মৃত্যুর দিন তিনি দি সিটি ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ শাখার নিজ একাউন্ট থেকে নগদ ৯১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেছিলেন। মূলত টাকার জন্যই তাঁকে পরিকল্পিত উপায়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর দি সিটি ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ শাখার তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক ও সন্দেহভাজন দুই ভাড়াটিয়া খুনীকে গ্রেফতার করে।
নির্মম এই হত্যাকান্ডের দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও ভাল নেই নিহত ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদের পরিবার। তাঁর বিধবা স্ত্রী রনি আকতার জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দীর্ঘদিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। আমার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন আমাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি।
এমনকি আমার স্বামীর রেখে যাওয়া টাকা-সম্পত্তি থেকে আমাকে এবং আমার একমাত্র নাবালিকা কন্যাকে বঞ্চিত করতে আমার নামে মামলা দিয়ে নানাভাবে আমাকে হয়রানী করছেন।
তিনি আরও জানান, আপেল মাহমুদের বীমার নমীনি ছিলাম আমি কিন্তু সে বিষয়ে হয়রানী করতে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তাঁরা। এ ছাড়াও নিহত আপেল মাহমুদের আরেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোবিন্দগঞ্জের গোলাপ সুপার মার্কেটের সালমান মোবাইল প্যালেসের কর্মচারীরা যোগসাজসের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করে নিজেদের পছন্দ মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে।
গত ৩১ মার্চ দোকানে গিয়ে মালিকানা দাবী করলে দোকানের কর্মচারীরা চরম দুর্ব্যবহার করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ বিষয়ে ওই দিন গোবিন্দগঞ্জ থানায় প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ করেছেন রনি আকতার।
গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, থানায় অভিযোগ জমা আছে। তবে এ বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আদালতের মাধ্যমে শুরাহা হওয়া প্রয়োজন।
আগামীনিউজ/মালেক