Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সৈয়দপুরে বিদ্যুৎ চুরিতে দন্ডপ্রাপ্ত ও শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে চাকরি করার অভিযোগ


আগামী নিউজ | জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২১, ০১:১১ পিএম
সৈয়দপুরে বিদ্যুৎ চুরিতে দন্ডপ্রাপ্ত ও শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে চাকরি করার অভিযোগ

ফাইল ফটো

নীলফামারীঃ জেলার সৈয়দপুরে বিদ্যুৎ চুরির মামলায় দন্ডিত ব্যাক্তি বয়স ও শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে চাকরি করার অভিযোগ মিলেছে। সাহায্যকারী পদে ২০১২ সাল থেকে সে চাকরি করে আসছে। দন্ডিত ওই ব্যাক্তির নাম মোঃ আব্দুল কাদের। তার বাবার নাম বাফাজ উদ্দিন। বাড়ি শহরের ওয়াপদা গ্রামের খলিফা পাড়ায়।    

অভিযোগে জানা গেছে বিগত ২০০৩ সালে মিটার টেমপারিং করে বিদ্যুৎ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। এ নিয়ে সেই সময় রংপুর বিদ্যুৎ আদালতে ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়।মামলা নম্বর ৪১৬/২০০৩। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ আইনের ৩৯(এ) ৪৭ ধারায় সে দোষী সাব্যস্ত হয়। এতে করে আদালত ১৫ দিনের কারাবাস অথবা নগদ এক হাজার টাকা দন্ড দেন।পরে দন্ডের টাকা পরিশোধ করে কারাবাস থেকে রেহাই পায় সে।

এ দিকে মামলার তথ্য গোপন করে এবং বয়স জালিয়াতি করে ২০১২ সালে বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি নেন সাহায্যকারি পদে। সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন এই ব্যক্তি অষ্টম শ্রেণি পাশের ভুয়া সনদ চাকরির বায়োডাটায় জমা দেন। তার শিক্ষা সনদে জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে পহেলা জানুয়ারি ১৯৬৮। আর জাতীয় সনদ পত্রে জন্ম তারিখ রয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭। তার স্কুল সনদ অনুযায়ি ২০১২ সালে তার বয়স ছিল ৪৪ বছর। আর জাতীয় সনদ পত্র অনুযায়ি ২০১২ সালে তার বয়স ৩৫ বছর।

অথচ সেই সময়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল সর্ব্বোচ্চ ৩০ বছর। বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দাপিয়ে সে চাকরি করছে।

বর্তমানে অভিযুক্ত মোঃ আব্দুল কাদের সৈয়দপুর বিদ্যুৎ ও বিরণ বিভাগে ( নেসকো লিঃ) সাহায্যকারী পদে অদ্যাবধি বহাল তবিয়তে চাকরি করে আসছে। এমন কি ওই ব্যক্তি নিয়ম ভেঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছে (হাইপারটেনশন কনজুমার)বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পৌছে দেয় অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে। যা বিদ্যুৎ আইনের পুরোপুরি পরিপন্থি।

অভিযোগ বিষয়ে মুঠোফোনে আব্দুল কাদেরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মামলা অনেক আগে ডিসমিস হয়ে গেছে। আর স্মার্ট এনআইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সঠিক আছে। এ ছাড়াও হাইপারটেনশন বিল কর্তৃপক্ষ আমার ওপর চাপিয়ে দেয়।

ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উথ্থাপিত অভিযোগ বিষয়ে জানতে কথা হয় সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের  (নেসকো লিঃ)নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ’র সঙ্গে।

তিনি বলেন সবে মাত্র তিন মাস আগে আমি এই অফিসে যোগদান করেছি। তবে ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিল নির্বাহী প্রকৌশলী অথবা সহকারী প্রকৌশলী পৌছে দেয়ার নিয়ম বলে তিনি জানান। তবে কার্যক্ষেত্রে অনেক সময় ওইসব বিল কর্মচারীরাও পৌছে দেয়।

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে