মাগুরাঃ মুক্তা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
গতকাল রবিবার সকালে মাগুরা সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের ঘোড়ানাচ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ সদরের ফাজিলা গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে।
মুক্তার বাবা মানিক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ৫ বছর আগে সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের ঘোড়ানাচ গ্রামের নায়েব খা’র ছেলে নাসির খা’র সাথে মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মুক্তার উপর করে নানা ধরণের অত্যাচার করে আসছিল। ইতিপুর্বে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাই নাসিরকে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও নাসির নির্যাতন বন্ধ হয়নি। কিছুদিন আগে জানতে পারি বড় ভাইয়ের স্ত্রী খুরশিদা’র সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক রয়েছে নাসিরের। বিষয়টি নিয়ে মুক্তা প্রতিবাদ করলে নাসির তার নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দেয়।
এরই এক পর্যায়ে নাসির ও তার ভাবী খুরশিদা রবিবার সকালে মুক্তার গলা টিপে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে এটিকে আত্মহত্যা বলে এলাকাবাসীর কাছে প্রচার করে। এরপর তারা মুক্তার লাশ মাগুরা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে যায় ও পুলিশকে খবর জানায়। নাসির ও তার ভাবী খুরশিদা আমার মেয়েকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
মাগুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন আগামী নিউজকে জানান, খবর পেয়ে মাগুরা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
আগামীনিউজ/এএস