বগুড়া: জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় আমন চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলেও সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৬৭৬.৪৪০ মেট্রিক টন চাল। এদিকে সময় বৃদ্ধি করার পরেও চাল সরবরাহ না করায় জামানত হারাচ্ছেন চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র জানায়, নির্ধারিত চাল সংগ্রহের জন্য উপজেলায় তালিকাভুক্ত ৪৯৩ জন মিলারের মধ্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মাত্র ২৯ জন মিলার। আবার চুক্তিবদ্ধ ২৯ জন মিলারের বিপরীতে ১ হাজার ২৭০.৭৪ মেট্রিক টেন চাল সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়।
উপজেলায় চাল সংগ্রহের নির্ধারিত সময়ের পরেও চাল সংগ্রহের অভিযান সফল না হওয়ায় ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। বর্ধিত সময়ের পরেও চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল সরবরাহ করেছেন মাত্র ৬৭৬.৪৪০ মেট্রিক টন। ফলে চলতি আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থই হয়েছে।
উপজেলা চাউলকল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, বাজারে চালের দর ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি। অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি। অপরদিকে সরকার নির্ধারিত চালের দর ৩৭ টাকা কেজি। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে সিংহভাগ মিলাররা সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। অপরদিকে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজেই চুক্তিবদ্ধ মিলাররাও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে চাল সরবরাহে বিরত থেকেছেন।
এদিকে, ২২ মার্চ খাদ্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীন সংগ্রহ শাখার মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান, স্মারক নং ১৩.০১.০০০০.০৯১.৪৫.২৭২.২০.৪০ পত্রে উপজেলার চলতি আমন মৌসুমের চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকদের মধ্য যারা শর্ত ভঙ্গ করে চাল সরবরাহে বিরত থেকেছেন তাদের জামানত বায়েজাপ্ত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার প্রামানিক আগামীনিউজকে জানান, চুক্তিবদ্ধ মিলাররা সরকারি শর্ত ভঙ্গ করে চাল সরবরাহে বিরত থাকায় তাদের তালিকা করে জামানত বায়েজাপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সাথে সময় বৃদ্ধি করার পরেও সরকারকে চাল সংগ্রহ অভিযানে সহায়তা না করায় উপজেলায় ২৮৮ টি মিল মালিকদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মন্ত্রালয় যে সিদ্ধান্ত নিবে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামীনিউজ/মালেক