যশোরঃ সরকারি নিয়ম মেনে যশোরের আট উপজেলার ১৫টি জলমহাল ইজারার বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। আপলোড করা হয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটে।
কিন্তু এই ইজারার সিডিউল মেলেনি শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। ফলে অনেকেই আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেননি। তাই সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সিডিউল না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন খোদ শার্শা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান।
আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আফিল রেজা বলছেন, তাদের কাছে জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা জেলা অফিস থেকে দেয়া হয়নি।
যদিও ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জলমহাল ইজারার আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত একটি সিন্ডিকেট ইজারার নামে উপজেলার আটটি বাঁওড় ও বিল দখল করতে তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।
তারা এক ধরনের গোপনে এই ইজারা প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে বলে অভিযোগ।
যশোর জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি যশোরের আট উপজেলার ১৫টি জলমহাল ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আগামী তিন বছরের জন্য ইজারা দিতে প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠন ও সমিতির নামে ১১ মার্চের মধ্যে আবেদন ফরম সংগ্রহের জন্য বলা হয়। আর আবেদনের জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৪ মার্চ। আবেদন ফরম জেলা প্রশাসকের এসএ শাখা ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু শার্শার রাজাপুর বাঁওড়, ফুলসর বাঁওড়, মৌতা বাঁওড়, ছোটকোনা বাঁওড়, বড়কোনা বাঁওড়, সাতবাইল বিল, কন্যাদহ বাঁওড় ও রাজগঞ্জ বাঁওড়ের ইজারার জন্য কোন আবেদন ফরম শার্শা উপজেলায় পাঠানো হয়নি। এজন্য বেশ কয়েকটি প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতি ফরম সংগ্রহ করতে পারেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শার্শা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিবার উপজেলায় জলমহাল ইজারার সিডিউল বিক্রি করা হয়। এবারো হওয়ার কথা। কিন্তু না পেয়ে অনেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছে। আমি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে শুনেছি ইজারার জন্য একটি চিঠি আসলেও শার্শায় কোন সিডিউল আসেনি। এটা বড়ধরনের অনিয়ম। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আফিল রেজা বলেন, জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কোন সিডিউল আমাদের কাছে আসেনি। সিডিউল জমা নেয়ার জন্য বক্সও রাখার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
আগামীনিউজ/এএস