Dr. Neem on Daraz
Victory Day

রুমায় ভিজিডি’র ১৮৫ মেট্রিক টন চাল উধাও


আগামী নিউজ | সুজন ভট্টাচার্জ, জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২১, ০৪:৩৫ পিএম
রুমায় ভিজিডি’র ১৮৫ মেট্রিক টন চাল উধাও

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানঃ জেলার রুমা উপজেলার খাদ্য গুদাম থেকে উধাও হয়ে গেছে ভিজিডি’র ১৮৫ মে. টন চাল। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাল উধাওয়ের দোষ চাপাচ্ছেন ৪ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ওপর। আবার ইউপি চেয়ারম্যানরা দোষ দিচ্ছেন খাদ্য কর্মকর্তার ওপর। 

খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা উচনু মারমার অভিযোগ, “যথাযথ দাপ্তরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে  স্বাক্ষর করে চার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গত ৭ মাস ধরে তাদের চাল উত্তোলন করেন। এখন তারা বিষয়টি অস্বীকার করছেন। বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করলেই তাদের স্বাক্ষরগুলো সঠিক কিনা জানা যাবে।”

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন, ১ নম্বর পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা, ২ নম্বর সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা, ৩ নম্বর রেমাক্রী প্রাংসা ইউপি চেয়ারম্যান জিরতেলায়াং বম ও ৪ নম্বর গালেংগ্যা ইউপি চেয়ারম্যান শৈউসাউ মারমা।

তাদের পাল্টা অভিযোগ, গত বছরের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তারা কোনো ধরনের ভিজিডি’র চাল পাননি। অথচ তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গত ৭ মাস ধরে খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ২ নম্বর সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা বলেন, “খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ৭ মাস ধরে চাল না পাওয়ায় উপকারভোগীদের চাল বিতরণ করতে পারিনি। গোপন সংবাদে জেনেছি, সবগুলো চাল ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন। কাগজে চেয়ারম্যানদের যেসব স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে সেগুলো জাল।”

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়ামিন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “খাদ্য গুদামের যে অনিয়ম হয়েছে, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 জড়িত ব্যক্তির বিষয়ে ব্যবস্থার নেয়ার আশ্বাস দিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাছান বলেন, “এ বিষয়ে যদি আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা জড়িত থাকে তবে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” 

আগামীনিউজ/এএইচ   

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে