ফাইল ছবি
পাবনা: জেলার সাঁথিয়া উপজেলার পাঁচ ধোপাদহ গ্রামের লিটনের মেয়েকে স্বামী কর্তৃক নির্যাতন বিষয়ে এক শালিসে ডেকে নিয়ে লিটনকে থাপ্পর মারায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় লিটন কান ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ব্যাপারে লিটনের স্ত্রী ময়ূরী খাতুন বাদী হয়ে রোববার সন্ধায় সাঁথিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
থানায় দেয়া অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এক বছর আগে উপজেলার পাচ ধোপাদহ গ্রামের লিটনের মেয়ে আয়শা খাতুন (১৯) এর সাথে ধুলাউড়ি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের সাকেত মোল্লার ছেলে রুবেলের সঙ্গে নগদ ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে ও ১ লক্ষ টাকা কাবিন করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন দাবী নিয়ে তার মেয়ে আয়শার উপর রুবেলসহ তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদের নিকট বিচার প্রার্থী হয় লিটন।
গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা করার জন্য লিটনকে ডেকে পাঠায় চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ। সেখানে লিটন ও লিটনের মেয়ে আয়শা উপস্থিত হয়। এ সময় চেয়ারম্যান তাকে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে মেয়েকে তালাক নামায় স্বাক্ষর দিতে বলে। সে এতে অপারগতা প্রকাশ করলে চেয়ারম্যান তাকে তাকে সজোরে থাপ্পড় মারে। বাবাকে মারপিট করার সময় মেয়ে আয়শা বাধা দিলে তাকেও মারপিট করে। পরে লিটন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় লিটনের স্ত্রী ময়ুরী খাতুন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ও মেয়ের স্বামী রুবেলের ভাই ওবায়দুলকে আসামী করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাকে মারিনি অন্য একটা বিষয় নিয়ে আমার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর আব্দুল আজিজ তাকে থাপ্পড় মেরেছে।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামীনিউজ/মিথুন