দিনাজপুরঃ গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় এনে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়।
গত শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখের (৬৫) কোমরের নিচের অংশ পুরোটাই অবশ হয়ে গেছে দুর্বৃত্তদের আঘাতের কারণে। আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে তার সময় লাগতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ওমর আলীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিনতলার নিউরো সার্জারি ওয়ার্ড থেকে তিনতলার ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়েছে।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার রাতে তিনি ঘাড়ে আঘাত পান। এতে স্পাইনাল কর্ডে গুরুতর আঘাত লাগে। সাধারণত এ ধরনের জটিলতায় চার হাত-পা অবশ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তার দুই হাত কিছুটা সচল থাকলেও নাভির নিচের অংশ অবশ হয়ে গেছে। এছাড়া ওমর আলী শেখের আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল।
চিকিৎসক আরও বলেন, সাধারণত এ ধরনের সমস্যা সেরে উঠতে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আপাতত তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। একটি চিকিৎসক দলের মাধ্যমে তার চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তার স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যেতে চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ওমর আলী শেখের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনরা যদি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামীনিউজ/মিথুন