Dr. Neem on Daraz
Victory Day

করোনা আক্রান্ত ফুলবাড়ি থানার ওসি!


আগামী নিউজ | কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৮, ২০২০, ০৬:২০ পিএম
করোনা আক্রান্ত ফুলবাড়ি থানার ওসি!

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ করোনা সম্মুখ যোদ্ধাদের অন্যতম পুলিশ অফিসার ফুলবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায় কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

জানা যায়, ফুলবাড়িতে করোনাভাইরাস শনাক্ত প্রথম ব্যক্তিকে গাড়ীতে করে হাসপাতাল পৌছানো এবং সুস্থ হওয়ার পর তাকে দেখতে যাওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এক ওয়ার্ডবয় ওসি  রাজিব কুমারের সংশ্পর্শে আসাতে এ সংক্রমণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিপুর্বে ঐ ওয়ার্ডবয় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তার ড্রাইভার ও অন্য দুইজন কনস্টবলসহ থানার অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ি  থানা অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায় কুড়িগ্রাম পুলিশে প্রথম করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় সব থেকে বেশী যিনি আহত হয়েছেন তিনি জেলা পুলিশ কুড়িগ্রামের প্রতিটি সদস্যের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্বরত পুলিশ ও জনবান্ধব একজন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান (বিপিএম)

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান (বিপিএম) ‌'পুলিশ সুপার ফেসবুক' পেইজে লিখেছেন, পুলিশের কাজ আইনশৃংখলা রক্ষা করা। জেলার প্রবেশপথ গুলোতে ১০টি চেক পোষ্টে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে নারায়ণগন্জ, গাজীপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ ফেরত মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদে সতর্ক থাকার পরও এমন ঘটনা হয়ে যেতে পারে। পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, আমরা আরও বেশী সতর্ক হবো পাশাপাশি এ সংকটে জনগণের সেবা নিশ্চিত করবো।

জেলার একাধিক সচেতন ব্যক্তিদের মতামত, বৈশ্বিক করোনা সংকটে দেশের অভ্যন্তরে জেলা পুলিশ কুড়িগ্রামের গর্বিত সকল সদস্যের পাশে দাঁড়িয়ে  সাহস ও সমবেদনা জানানো উচিত। জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রথম থেকেই ফ্রন্ট লাইনে কাজ করে আসছে। মানবিক সহযোগিতায় পুলিশ সদস্যগণ প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করছে, খাদ্য সহযোগিতা, পুলিশি টহল, সচেতনতা সৃষ্টিতে এবং  লকডাউন ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে জেলার সর্ব্বোচ কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান (বিপিএম) স্বয়ং মাঠে থেকে ফ্রন্ট লাইনে কাজ করে আসছেন।

উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পুলিশ বাহিনীর গর্বিত সদস্যরা এ ঝুকিতে পড়বেন জেনেও ১১০০ জন পুলিশ সদস্য এসপি স্যারের মানবিক গুণ ও দক্ষ নেতৃত্বে জেলা ও জেলার মানুষদের সুরক্ষা দিতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। স্থায়ী চেক পোষ্ট, সীমানা চেকপোস্ট, কৃষকদের বাহিরে ধান মারাই করতে যাওয়ার পুর্বমুহুর্তে চেকিং, খাদ্য সহায়তা পৌছানো, সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা, বিদেশ ফেরত ও ঢাকা নারায়ণগন্জ এবং গাজীপুর ফেরতদের তালিকা প্রণয়ন, খোঁজ-খবর, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, মানুষের ভীড় এড়াতে কার্যক্রম, নদ-নদী ও চরাঞ্চলে টহল ও রুটিন ওয়ার্ক অব্যাহত।  সবমিলিয়ে জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম এ অঞ্চলে সব জেলা থেকে তুলনামুলক  বেশী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে বলে তিনি তার নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেন।

জেলা উপজেলা পর্যায়ের মফস্বলে কাজ করা গণমাধ্যকর্মীদের অনেকেই বলেন, এ সময় ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা পুলিশ সদস্যদের মনোবল যোগাতে ও তাদের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে আমাদেরও পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা হলো জনগণের সাথে পুলিশ বাহিনী এমনভাবে ইমপেক্ট হয়ে আছে, পুলিশ থেমে গেলে দেশ থেমে যাবে। তাদের নিয়ে সমালোচনা যাই থাক কিন্তু বাস্তবতা হলো বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশই একমাত্র সেবাদানকারি ফ্রন্ট লাইনের ত্যাগী বাহিনী।

কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন, জেলাবাসীর  পক্ষে সাহসী,  মানবিক এবং দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খানের  প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি। ইনশাআল্লাহ কোভিড-১৯  জেলা পুলিশ কুড়িগ্রামকে হারাতে পারবে না। এ যুদ্ধে পুলিশ জনতাকে সাথে নিয়ে সুরক্ষিত থাকবে ও আইনশৃংখলা রক্ষায় সর্ব্বোচ সেবা দিতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করি।

আগামী নিউজ/ লাভলু/ তাওসিফ 
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে