ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের (২৯৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার) পাসকৃত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে গবেষণা খাতে।
গত বছরের তুলনায় মূল ১১টি খাতের ৬টিতে বরাদ্দ বেড়েছে, আর কমেছে ৫টিতে। বরাদ্দ বেড়েছে বেতন ভাতা, পেনশন ও অবসর, গবেষণা ও উদ্ভাবন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সহায়তা, অন্যান্য মূলধন জাতীয় ব্যয় এবং অন্যান্য ব্যয় খাতে। অন্যদিকে বরাদ্দ কমেছে পণ্য ও সেবা (সাধারণ আনুষঙ্গিক), পন্য ও সেবা ( রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত), যন্ত্রপাতি ক্রয় ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে।
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে এ বাজেট পাস হয়। বাজেট উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার।
২৯৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার এ বাজেট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২৭১ কোটি ৮১ লাখ টাকা অনুদান দেবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সূত্রে আয় হবে ২২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়। সংশোধিত বাজেটের আকার ২৮৭ কোটি এক লাখ টাকা।
সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৫৯.৫৯ শতাংশ। পেনশন ও অবসর সুবিধা খাতে ৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যা বরাদ্দের ১৪.৩৯ শতাংশ এবং গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা বেশি। গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১.৮৮ শতাংশ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। উক্ত খাত গুলোতে গতবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অন্যদিকে মূল ছয়টি খাতে বরাদ্দের পরিমান গতবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় পরিমান হ্রাস করা হয়েছে। এর মধ্যে পন্য ও সেবা (সাধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ) খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যা বরাদ্দের ২০.৫ শতাংশ। যন্ত্রপাতি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যানবাহন ক্রয় বাবদ দেড় কোটি টাকা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫৫ লাখ টা, যা মোট বারাদ্দের ০.১৯ শতাংশ।
সিনেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, সিন্ডিকেট সদস্য ও রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য সিনেট অধিবেশনের শুরুতে, সিনেটের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের বক্তব্যের শেষে পয়েন্ট অব অর্ডার উত্থাপন করেন সিনেটর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম। এসময় তিনি সিনেটরদের মেয়াদ উত্তীর্ণের কথা উল্লেখ্য করে নির্বাচনের দাবীতে বিএনপিপন্থী সিনেটরদের পক্ষ থেকে ১০ মিনিট ওয়াক আউট ঘোষণা করেন। সিনেটরদের মেয়াদ উত্তীর্ণের প্রশ্ন তোলায় তাকে 'বেয়াদব' বলে কটুক্তি করে তেড়ে আসেন সিনেটর মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা।
সৈকত ইসলাম/এমআইসি