পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত প্যানেলের বিরুদ্ধে জামাত-বিএনপির সাথে যোগসাজোগের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনে জয় লাভ করার জন্য জামাত-বিএনপির পন্থী শিক্ষকদের পাঁচটি পদ ছেড়ে দিয়ে এবং জামাত বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের ভোট দিয়ে জয়ী করানো হয়েছে।
গত ২৯ মে পটুয়াখালী বিজ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ জিহাদ-মুন্না প্যানেল। জামাত-বিএনপি থেকে ৫ জন শিক্ষক জয় লাভ করেছে। অপর দিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকে মনোনীত প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে।
এই নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ মনোনীত প্রার্থীদের হারানো হয়েছে, এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক অধ্যাপক। তাদের দাবি জামাত এবং বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সাথে আঁতাত করে নির্বাচনে সফলতা পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ জিহাদ-মুন্না প্যানেল। একই অভিযোগ তুলেছেন পবিপ্রবির প্রক্টর ও ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্টার প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসুসহ আরো অনেক শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার এবং
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ‘জামাত-বিএনপির সাথে আঁতাত স্পষ্টত। নিজেদের প্যানেলের জয়ের জন্য জামাত-বিএনপিকে পাঁচটি পদ ছেড়ে দিয়েছে। তাছাড়া জামাত- বিএনপি ভোট আছে মাত্র ৫০ টি। কিন্তু নির্বাচন জামাত-বিএনপি পন্থী শিক্ষকেরা ১৫৩ টি ভোট পায় কোথা থেকে।’
তবে এসব অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর জেহাদ পারভেজ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভরাডুবি তাদের কর্মফল। প্রশাসনের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো থাকায়, আমরা যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক এটা কোথাও গুরুত্ব দেয় না। আমরা একসাথে বঙ্গবন্ধু আদর্শের শিক্ষকের নির্বাচন করার জন্য উপাচার্যের কাছে বললেও তিনি নজর দেননি। প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক খারাপ দেখে কোষাধ্যক্ষ পদে আমাদের কেউ নির্বাচন করতে চান নাই। তারাই কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি পদ দুইটি ছেড়ে দিয়ে সাদা দলের সাথে আঁতাত করতে চেয়েছিলে আমাদের পরাজিত করার জন্য। তাদের প্যানেলের কেউ সভাপতি বা কোষাধ্যক্ষ পদে কেনো নির্বাচন করল না এটা প্রশ্ন রইল?’
বুইউ