কুষ্টিয়াঃ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানো, আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা, কেক কাটা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ।
কর্মসূচির শুরুতে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান। এসময় ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে প্রভোস্টগণ স্ব-স্ব হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্যাম্পাসের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে ৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ভিসি। এময় প্রো-ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার-সহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে সাড়ে ১০টার দিকে ভিসির নেতৃত্বে সকল পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। বিভিন্ন বিভাগ ও হল স্ব-স্ব ব্যানার নিয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষদ ভবন সংলগ্ন বাংলা মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাটা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে ৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিরিনা বিথী।
ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষা ও অবকাঠামো দুটি সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব সেটি সততার সঙ্গে পালন করতে হবে। শিক্ষা-গবেষণায় মনোনিবেশ করে আমরা শ্রেষ্ঠতর থেকে শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে দাঁড়াতে চাই।
মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ/বুইউ