পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত-গুচ্ছ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে আগত শিক্ষার্থীদেরকে প্রয়োজনীয় নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়স্থ বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতি।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১:৩০ থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত সমন্বিত-গুচ্ছ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী পবিপ্রবি কেন্দ্রে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলার পাদদেশে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের আসন খুঁজে দেওয়া, ব্যাগ, ঘড়ি ও মোবাইল জমা রাখা এবং মাস্ক বিতরণসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছে বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতি। এছাড়াও যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুক্রবারেই ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছিলেন তাদের রাতে থাকার জায়গার ব্যবস্থা করেছিল এই সংগঠনটি।
বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান বলেন, "বৃহত্তর ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইলসহ সব ধরনের ডিভাইস এবং অন্যান্য সামগ্রী যা নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই, তা আমরা জমা রাখি এবং পরীক্ষা শেষে এসব জিনিসপত্র হস্তান্তর করি। পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়। আগামী দিনেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়াস্থ বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতি।"
বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি রাজীব সরকার নিলয় বলেন," আমরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য কাজ করছি। গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর জেলার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সংগঠন।"
বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতি ছাড়াও অন্যান্য সংগঠন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছে।
উল্লেখ্য, বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর জেলা থেকে আগত পবিপ্রবি'র শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে গঠিত একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে নিজেদেরকে প্রকাশ করে আসছে পবিপ্রবির সূচনালগ্ন থেকেই।
সাব্বির হোসেন/এমএম