পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিড দা ফিউচার এর আয়োজনে দিনব্যাপি মাছ চাষিদের জন্য বৈজ্ঞানিক উপায়ে মাছ চাষ ও খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ হয়েছে।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০ টা থেকে পবিপ্রবি কৃষি কনফারেন্স রুমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যে ছিল-বৈজ্ঞানিক উপায়ে মাছ চাষ পদ্ধতি, মাছের পরিচিত, মিশ্র মাছচাষ পদ্ধতি, কার্প জাতীয় মাছের মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া, উপযুক্ত পুকুর নির্বাচন, মৎস্য চাষের প্রয়োজনীয় ঔষধ পরিচিত।
উক্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট পিআই সদস্য ও টেক্সাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর ড. মদন মোহন দে। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পবিপ্রবির প্রফেসর বদিউজ্জামাল, প্রফেসর জাকির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা মোল্লা ইমদাদুল, প্রজেক্ট পিআই এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান খান। এছাড়াও মৎস্য অনুষদ এবং অন্যান্য অনুষদের শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় মৎস গবেষক, মৎস চাষী ও মৎস্য ব্যাবসায়ীরাও উক্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
প্রফেসর মোহাম্মদ আলী বলেন,"বৈজ্ঞানিক উপায়ে মাছ চাষ করলে সফলতা আসবেই। জনগণের পুষ্টিহীনতা দূর হবে এবং দেশের আয় বৃদ্ধি পাবে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা মোল্লা ইমদাদুল বলেন," ইলিশ নিয়ে আরো ব্যাপক গবেষণা করে ইলিশের সঠিক প্রজননের সময় ও প্রজননের সঠিক স্থান নির্ধারন করতে হবে।"
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান খান বলেন, আমাদেরকে গুনগত ও মানসম্মত মাছ উৎপাদন করতে হবে। বিদেশে মাছ রপ্তানি করতে পারলে বৈদেশিক আয় বাড়বে।
মৎস্য চাষি নিলুফা বলেন,"আমি সাদা মাছের চাষ করি, এই প্রশিক্ষণ থেকে খাঁচায় মিশ্র মাছ চাষ সম্পর্কে জানতে পেরেছি।"
উল্লেখ্য, ফিড দা ফিউচার হচ্ছে ইউএস সরকার কর্তৃক বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা এবং খাদ্য নিরাপত্তা উদ্যোগ। যা বর্তমানে বাংলাদেশিদের জীবন ও জীবিকাকে এগিয়ে নিতে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরনের কাজ করছে।
সাব্বির হোসেন/এমবুইউ