Dr. Neem on Daraz
Victory Day

জাফর ইকবালের আশ্বাসে ভাঙছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অনশন


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ০৯:৪১ এএম
জাফর ইকবালের আশ্বাসে ভাঙছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অনশন

ছবিঃ সংগৃহীত

মুহম্মদ জাফর ইকবালের অনুরোধে অনশন ভাঙতে রাজি হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত চারটার দিকে কনকনে শীত উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকোশলবিদ্যার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। এসময় মুহম্মদ জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার বিষয়ে বোঝাতে থাকেন। এসময় অধ্যাপক ইয়াসমিন হক এর দায় নিতে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সিনিয়র শিক্ষকদের।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, জীবন অনেক মূল্যবান। তুচ্ছ বিষয়ে জীবন অপচয় করা যাবে না। আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের সেটা পূরণ হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা দেরি করিনি, সরাসরি এখানে চলে এসেছি।

জাফর ইকবাল আরও বলেন, আমরা তোমাদের অনশন না ভাঙিয়ে যাবো না। তোমরা পুরো দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছো।

এক পর্যায়ে সম্মোহিত হয়ে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙতে রাজি হন। তবে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি কোনোভাবেই ছাড়তে রাজি হননি তারা। আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর ছয়টার সময় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এক শিক্ষার্থী জানান, জাফর ইকবাল স্যারকে আশ্বাস দিয়ে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন। উপাচার্যের জন্য অনশন করে নিজের ক্ষ‌তি করা ঠিক না। তাই আমাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ ও আহ্বান জানান তিনি। তবে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ কয়েকটি অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। এরই এক পর্যায়ে গত ১৫ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে এবং তাদের লক্ষ্য করে গুলি-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি হলের সেই প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। কিন্তু ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উপাচার্যের মদদ থাকার অভিযোগ ওঠে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকে।

গত ১৯ জানুয়রি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করে ২৪ শিক্ষার্থী। অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও অনশন ভাঙেননি তারা। এরপর মুহম্মদ জাফর ইকবালের অনুরোধে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অনশন ভাঙতে রাজি হন শিক্ষার্থীরা।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে