ঢাকাঃ ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানে ২০১০ সাল থেকে ব্যতিক্রমী এ মেলার আয়োজন করে আসছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। আগামী শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ১৩তম বারের মতো দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটরিয়াম প্রাঙ্গনে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় মেলার আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এবারের মেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য থাকবে ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি ও প্রকৃতি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার, “উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি” শিরোনামে বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতাসহ আরো নানা আয়োজন থাকবে।’
বন্যপ্রাণি ও প্রজাপতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য এবারের মেলায় বাটারফ্লাই এওয়ার্ড পাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট এওয়ার্ড পাবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. জহির রায়হান।
অধ্যাপক মনোয়ার জানান, এবারে প্রথমবারের মতো প্রিন্ট, অনলাইন ও ব্রডকাস্ট এই তিন ক্যাটাগরিতে মিডিয়া এওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এর ফলাফল মেলার দিন ঘোষণা করা হবে।
২০১০ সালে জাবিতে ১১০ প্রজাতির প্রজাপতি দেখা গিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে প্রজাপতি সংখ্যা কমে আসছে এবং বর্তমানে প্রজাপতির অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন। বর্তমানে এখানে ৫৭ প্রজাতির প্রজাপতি আছে। এর মধ্যে প্রায় নতুন তিন প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মিলেছে যা সাধারণত বনাঞ্চলে দেখা যায়।’
তিনি বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে প্রজাপতির সম্পর্ক নিবিড় । প্রজাপতি থাকলে প্রকৃতি থাকবে, গাছপালা থাকবে। শিশুরা নগরকেন্দ্রিক জীবনে প্রজাপতি দেখতে পায় না তাই প্রতিবছর এ মেলায় জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শনী থাকে। আমরা খুবই শঙ্কায় আছি যে, আগামী দিনগুলোতে তাদের জীবন্ত প্রজাপতি আর দেখাতে পারব কিনা। এছাড়া কাগজ, শোলা ও কাপড় দিয়ে তৈরি প্রজাপতি, ওরেগ্যামিও দেখাতে চেষ্টা করবো, যাতে শিশুদের বলতে পারি এটাই হচ্ছে প্রজাপতি এবং এটি টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে।
সৈকত ইসলাম/এমআইসি