ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হল সংলগ্ন নির্মাণাধীন মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢালাইয়ের কাজ শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানান নির্মাণ শ্রমিক নোমান মিয়া। ছাদ ধসে পরার পর কাজ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ছাদ ধসে পরার খবর শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, দুই হলের প্রাধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা পরিদর্শনে আসেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিতিতে তৎক্ষনাৎ হওয়া মিটিংয়ে সম্পূর্ণ ছাদের বিম খুলে আবার নতুন করে বিম লাগানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান মসজিদটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফরমিলা আক্তার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দাইয়ান বিন শাহজাহান।
তিনি বলেন, "সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ দুই হলের প্রাধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাথে আমাদের মিটিং হয়। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরো ছাদের বিম খুলে নতুন করে লাগাতে হবে এবং পরে কাজ শুরুর করার কথা বলা হয়।"
ঢালাইয়ের শুরুতেই এভাবে ছাদ ধসে পরার কারণ জানতে চাইলে দাইয়ান বলেন, "আমাদের পুরো কাজই শেষ ছিল শুধু ঢালাইয়ের কাজ বাকী ছিল। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আমরা ঢালাইয়ের কাজ শুরু করতে পারিনি। বৃষ্টি না থাকায় আজকে কাজ শুরু করেছিলাম কিন্তু এই ঘটনা ঘটল।"
"বৃষ্টির কারণে পানি জমে কাঠ ভিজে ছিল আর পেরেকের সাথে কাঠের জোড়া লাগানো অংশ ফাঁকা হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। আর এ কারণেই এই ধসে পরার ঘটনা ঘটেছে।"
এতদিন বৃষ্টি হওয়ার পর হঠাৎ ছাদ ঢালাই দিলে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে এই বিষয়ে আগে পরীক্ষা না করেই কেনো ছাদ ঢালাই দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এই ঘটনা আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে এই প্রথম ঘটল। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে কাজ করব।"
কাজের মধ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের কোনওরকম গাফিলতি ছিল না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ ফিরোজ উল হাসান বলেন, "উপাচার্য স্যারসহ আমরা কয়েকজন আজ সকালে ধসে পরা ছাদ পরিদর্শন করেছি। এতদিনের টানা বৃষ্টির জন্য মূলত এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা আবার নতুন করে কাজ শুরু করতে বলেছি।"
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ছাদের বিম খুলে নতুন করে আবার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক মো: নাসির উদ্দিনের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, " একটা কাজে হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে, আজকে মসজিদে ছাদ ধসে পড়ার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে। তবে আগামীর কাজগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কাজ করবো।"
এদিকে সার্বিক বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
সৈকত ইসলাম/এমআইসি